আবদুল মজিদ,চকরিয়া:
চকরিয়া উপজেলার আসন্ন কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে কোনাখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা মোস্তাফিজুর রহমান চেয়ারম্যান পদে দলীয় নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চেয়েছেন। তৃণমূলের দলীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, যুবনেতা মোস্তাফিজুর রহমান দলের দুঃসময়ে তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকার করে সুখে দুঃখে পাশে ছিলেন। আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণি ভূমিকা রেখেছেন। পাশাপাশি তিনি সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। তাকে দলীয় নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী নিশ্চিত করার দাবী জানান।

অপরদিকে, কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে দলীয় নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী নিশ্চিত করা হলে জীবনের সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকার করে বিজয় নিশ্চিত করতে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী কোনাখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি সবার দোয়া ও সমর্থন কামনা করেছেন।

দলীয় প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী মোস্তাফিজুর রহমান চকরিয়ার কোনাখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের নতুনঘোনা এলাকার সম্ভ্রান্ত পরিবারের মোস্তাক আহমদের পুত্র। মোস্তাফিজুর রহমান ১৯৯৬সন থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কোনাখালী ইউনিয়নের (বৃহত্তর ভেওলা মানিকচর ইউপি) সদস্য, ১৯৯৬ সনের পর থেকে ২০০৩ সন পযর্ন্ত দীর্ঘ ৭বছর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩সন থেকে অদ্য ২০২০ সন পযর্ন্ত কোনাখালী ইউনিয়ন যুবলীগের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একই সাথে মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সিনিয়র সদস্য হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। বর্তমানে কোনাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সাংগঠনিক কাজ করে যাচ্ছেন। দলীয় নৌকা প্রতীক প্রত্যাশী মোস্তাফিজুর রহমান বিভিন্ন সামাজিক, ক্রীড়া-সাংস্কৃতি, শিক্ষা ও সমবায় ভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত থেকে জনসেবায় কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন অবকাঠামোতগত উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছেন।

অপরদিকে, তার (মোস্তাফিজুর রহমানের) পিতা মোস্তাক আহমদ কোনাখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নির্বাচিত সভাপতি। তিনি জীবনের সূচনালগ্ন থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের একজন একনিষ্ট ও নিবেদিত কর্মী হিসেবে কাজ করে আসছেন। এছাড়াও তিনি (মোস্তাক আহমদ) কোনাখালী হাজী হামিদ আলী জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবং স্থানীয় দুইটি জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা (৩নং ওয়ার্ডের সেনাঘোনা ফেরেজা খাতুন জামে মসজিদ ও ২নং ওয়ার্ডের কবরস্থান সংলগ্ন জামে মসজিদ)। তাহার দাদা বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম আবদুল জলিল।

মোস্তাফিজুর রহমানের বড় জেঠা মোক্তার আহমদ বৃহত্তর ভেওলা মানিকচর ইউনিয়ন (কোনাখালী ইউনিয়নসহ) ৪বারের নির্বাচিত এমইউপি, দলীয়ভাবে তিনি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য, বাংলাদেশ কৃষকলীগ কক্সবাজার জেলা শাখার প্রভাবশালী সদস্য, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিলরসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ,মাদরাসা,ক্রীড়া-সাংস্কৃতিসহ বিভিন্ন সামাজিক দায়িত্বে রয়েছেন।

মোস্তাফিজুর রহমানের চাচা জাফর আলম ছিদ্দিকী বৃহত্তর ভেওলা মানিকচর ইউনিয়ন (কোনাখালী ইউনিয়নসহ) ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি চকরিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি, চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সদস্য, বৃহত্তর ভেওলা মানিকচর ইউনিয়ন (কোনাখালী ইউনিয়নসহ) আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, কোনাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি, বর্তমানে মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

দলীয় প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী মোস্তাফিজুর বলেন, আমি জনগন ও দলীয় নেতাকর্মীদের দোয়া সমর্থন ও ভালাবাসা নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত কোনাখালী ইউনিয়ন এলাকার কৃষকদের চাষাবাদ নিশ্চিত করতে সকল স্লুইচ গেইট দিয়ে লবণাক্ত পানি ঢোকানো বন্ধ রাখবো। নদী ভাঙ্গন রোধ, অবহেলিত ও জরাজীর্ণ রাস্তা-ঘাটের দ্রুত সংস্কার, মেরামত ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবো। এলাকায় মাদক নির্মূল, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন, যুব সমাজকে অপরাধ প্রবণতা থেকে রক্ষা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দরিদ্র পরিবারের বিবাহযোগ্য কন্যাদের ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে সহায়তা দিয়ে বিবাহের ব্যবস্থা ও যাবতীয় সহায়তা করা হবে। তিনি সন্ত্রাস,দখলবাজ ও দুর্নীতিমুক্ত জবাবদিহি মূলক একটি আধুনিক ও মডেল কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদ প্রতিষ্ঠা করে জনগনের একজন খাদেম হিসেবে কাজ করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন।