শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, ঈদগাঁও:
কক্সবাজার সদরের ১নং ইসলামপুর ইউনিয়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে ক্রেতা সেজে ইয়াবা কিনতে গিয়ে নাছির উদ্দীন প্রকাশ দুলাল নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনার চিহ্নিত ৩ ইয়াবা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে নিহতের বাবা মোঃ শাহ আলম। ঘটনায় জড়িত খুটাখালীর বাসিন্দা বর্তমানে ইসলামপুর ভিলেজার পাড়ার অধিবাসী মৃত আবু শামার ছেলে নুরুল আবছার প্রকাশ আবছার ড্রাইভার ও পূর্ব নাপিত খালী এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে
আবুল কাসেম নামের দুই মাদক ব্যবসায়ীকে ধৃত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি টিম।
পলাতক রয়েছে ইসলামপুর ইউনিয়নের পূর্ব বামনকাটা এলাকার মৃত হাসানের ছেলে মাহমুদুল হক।
উল্লেখ্য, গত ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের পশ্চিম পাশে চাকার দোকান নামক স্থানে। নিহত নাছির উদ্দীন দুলাল চকরিয়া উপজেলা ডুলহাজারা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের রিং ভং মাঝের পাহাড় এলাকার শাহ আলমের ছেলে মোঃ ।সরেজমিনে নিহতের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় এক হৃদয় বিদারক দৃশ্য। মা-বোন স্ত্রীর কান্নায় আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবী করে দ্রুত সময়ের মধ্যে আটক পূর্বক আইনের আওতায় আনতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। প্রাপ্ত তথ্য ও বিলম্বে জানা যায়, নিহত নাছির উদ্দীন দুলাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসেবে প্রায় ৩/৪ মাস ধরে কাজ করে আসছিল। ইত্যবসরে ঘটনার দিন সকাল থেকে ক্রেতা সেজে সংস্থাটির পক্ষে ইসলামপুরের বামনকাটা এলাকার মোহাম্মদুল হক নামের এক ইয়াবা ব্যবসায়ীকে ধরতে ফাঁদ পাতে। এক পর্যায়ে বিকাল ৫ টার দিকে মাহমুদুল হক ও আরো কয়েকজন ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত নাছির উদ্দীন দুলালকে ইয়াবা দিতে আসে। এ সময় নাছিরের সাথে আরো একজন সংস্থাটির সদস্য স ছিল। টাকা লেনদেনের সময় মাহমুদুল হক নামের ঐ ইয়াবা ব্যবসায়ী বিষয়টি টের পেয়ে নাছির উদ্দীন দুলালকে বুকের নিচে ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায় বলে জানান স্থানীয় লোকজন। পরে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে নিহতের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। সাইদুল ইসলাম শাওন নামের ৪ বছর বয়সী এক সন্তানের জনক ছিল নিহত নাছির উদ্দীন দুলাল। ৫ বছর আগে বিয়ে করেছে একই এলাকার নাসরীন জান্নাত মৌসুমিকে। সংসারের হাল ধরতে চলে যায় টেকনাফের হোয়াইক্ষ্যং এলাকায়। সেখানে ইলেকট্রনিকস মেকার হিসেবে কাজ করত বিভিন্ন বাসা বাড়িতে৷ সেখান থেকে পরিচয় হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকটি সংস্থার সাথে। মাদক, অস্ত্র, সন্ত্রাস, ধরে দেওয়ায় ক্ষেত্রে নাছির উদ্দীন দুলাল ভূমিকা পালন করতে দেখেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কয়েকজন। ঘটনার পরদিন ৭ ডিসেম্বর বিকাল ৩ টায় প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষে স্থানীয় মসজিদে জানাজা পরবর্তী দাফন সম্পন্ন হয়েছে তার। এদিকে ঘটনার পর দিন থেকে ইসলামপুরের চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীরা গা ঢাকা দিয়ে আত্মগোপনে চলে গেছে। ইসলামপুরের সচেতন নাগরিক সমাজ জানিয়েছেন চিরুনি অভিযান চালিয়ে চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আটক করে আইনের আওতায় আনতে জোর দাবী জানান। পর দিন বাবা মোঃ শাহ আলম বাদী হয়ে ৩জনের নাম ও ২/৩ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।তবে মামলার বর্ণনা মতে বাদী দাবী করেন জড়িতদের সাথে ছেলে নাছির উদ্দীন দুলালের ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্ব বিরাজমান ছিল।