শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর :

কক্সবাজার সদরের ১নং ইসলামপুরে একটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে ক্রেতা সেজে ইয়াবা কিনতে এসে ছুরিকাঘাতে নাছির উদ্দীন নামের এক সোর্সকে ছুরিকাঘাত করে খুন করেছে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। তার বাড়ি চকরিয়া উপজেলার ডুলহাজারা বলে জানা গেলেও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করেছে সংস্থাটি৷ ঘটনাটি ঘটেছে ৬ ডিসেম্বর রবিবার বিকাল ৫ টায় ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চাকার দোকান রাস্তার মাথা নামক স্থানে। তবে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন সংস্থাটির এএসপি পদ-মর্যাদার এক কর্মকর্তা। তিনি ঐ অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিল। ঘটনার পর থেকে পুরো ঈদগাঁও জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে৷ খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, গতকাল ইসলামপুরের চিহ্নিত কয়েকজন ইয়াবা ব্যবসায়ীকে কৌশলে আটক করতে আসছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি টিম। এ সময় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সাথে সংস্থাটির সোর্স
নাছির উদ্দীন ক্রেতা সেজে ইয়াবা কিনতে যায়। সে সময় সংস্থাটির অপর এক সদস্যও উপস্থিত ছিল। ঐ সময়ে ৪ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী ইয়াবা নিয়ে ক্রেতা (সোর্স) নাছিরের সাথে কথা ও দরকষাকষি হচ্ছিল ।এক পর্যায়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের দুইজন বিষয়টি টের পেয়ে যায়। এ সময় সংস্থাটির এক সদস্য ও সোর্স মিলে আটকের চেষ্টা চালায় তাদের৷ এক পর্যায়ে সোর্সকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায় স্থানীয় এ দুই ইয়াবা ব্যবসায়ী। তখন এক রাউন্ড গুলি বর্ষণও হয় বলে জানা গেছে৷ পরক্ষণে সংস্থাটির একাধিক সদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছে আবুল কাসেম ও আবছার ড্রাইভার নামের দুই মাদক ব্যবসায়ীকে ধৃত করে। তাদের বাড়ি ইসলামপুর ইউনিয়নের রাস্তা মাথা নামক এলাকায়।পরে সোর্স নাছিরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় সংস্থাটির সদস্যরা৷ সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সংস্থাটির এএসপি পদমর্যাদার এ কর্মকর্তা মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহত নাছির উদ্দীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সাথে কাজ করত। মাদক, সন্ত্রাস, অস্ত্রবাজদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করত। তার মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানায় এ কর্মকর্তা। সংগঠিত ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত এবং অভিযানের স্বার্থে জড়িতদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি তিনি। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে,ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুরুষ শূন্য হয়ে পড়ছে৷ ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ আবদুল হালিম জানান, অফিসিয়াল ভাবে এখনো কোন কাগজপত্র ও নির্দেশনা পাননি। তবে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও আশেপাশে অভিযান চালানো হয়েছে। একজন আহতের খবর পেয়েছেন বলে জানান তিনি। লিখিত অভিযোগ বা মামলা দায়ের হলে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।