মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে কোস্ট ট্রাস্টের আলোচনা সভায় বক্তারা

আর্থসামাজিক উন্নয়ন, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও উন্নত সমাজ বিনির্মাণে মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে

প্রকাশ: ৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ০৭:৫৩ , আপডেট: ৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ০৭:৫৪

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সদিচ্ছা থাকলে মানবাধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব। আর্থসামাজিক উন্নয়ন, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও উন্নত সমাজ বিনির্মাণে সকলের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধানে মানবাধিকারের কথা বলা আছে। দেশের সীমিত সম্পদ দিয়েও সবার মানবাধিকার নিশ্চিত করণে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে সোমবার (৭ ডিসেম্বর) বিকালে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কোস্ট ট্রাস্টের আলোচনা সভায় বক্তাগণ এমন অভিমত প্রকাশ করেন।

টেকনাফ উপজেলা মিলনায়তনে ‘সবার উপর মানুষ সত্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন কোস্ট ট্রাস্টের সহকারি পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।

আলোচনা সভায় জাতিসংঘের সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্রের বিষয় তুলে ধরেন কোস্ট ট্রাস্টের যুগ্ম পরিচালক মজিবুল হক মনির।

তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমান পৃথিবীর বাস্তবতায় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করার সাথে সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলের ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে।

টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের হলরুমে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- টেকনাফ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়্যারম্যান তাহেরা আকতার মিলি, ইউএনএইচসিআর-এর প্রতিনিধি সুব্রত কুমার চক্রবর্তী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সিফাত বিন রহমান, হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শওকত হোসেন, একাডেমিক সুপারভাইজর মো: আফসার উদ্দিন, টেকনাফ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক সৈয়দ হোসাইন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি কক্সবাজার জেলার সভাপতি মোস্তাফা কামাল চৌধুরী মূসা।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার রক্ষা, তাদের জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা এবং তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করণে গৃহীত পদক্ষেপের কথা বলেন প্রধান অতিথি ইউএনও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, মানবাধিকারের নামে যাতে বাংলাদেশের বিশেষ করে উখিয়া ও টেকনাফের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন অবনতি না হয়। রোহিঙ্গাদের জন্য মানবাধিকার নিশ্চিত করণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। মানবাধিকারের কথা চিন্তা করেই রোহিঙ্গাদের এদেশে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।

উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়্যারম্যন তাহেরা আকতার মিলি মানবাধিকার দিবসের তাৎপর্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, রোহিঙ্গাদের মানবাধিকারের কথা চিন্তা করেই এদেশে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। উপজেলা পরিষদ এই অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করণে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি কোস্ট ট্রাস্টের প্রতি অনুরোধ করে বলেন, মানবাধিকার বিষয়ে যাতে তৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতামূলক সেশন পরিচালনা করা হয় যাতে করে তৃণমূল পর্যায়ে মানুষজন মানবাধিকার বিষয়ে সচেতন হয়।

ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি সুব্রত কুমার চক্রবর্তী মানবাধিকার বিষয়ে বলেন আমাদের সকলের মানবাধিকারের ধারাগুলো পড়া উচিত এতে করে আমরা মানবাধিকার বিষয়ে সম্পূর্ণ ধারণা পেতে পারি এবং মানবাধিকার নিশ্চিত করণে সবাই একসাথে কাজ করে যেতে পারি। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হলেই তাদের প্রত্যাবাসন সহজ ও সম্ভব হবে। জাতিসংঘ এই লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে।

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, আমাদের একের কারণে অন্যের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়। আমাদের সচেষ্ট হওয়া উচিত, যাতে করে একজনের দ্বারা অন্যজনের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়।

উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজর মোঃ নুরুল আবসার বলেন, মানুষের পাঁচটি মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা খুব জরুরি এবং রোহিঙ্গাদের জন্য এই মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করণে সবার একসাথে কাজ করা উচিত।

কক্সবাজার জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোস্তাফা কামাল চৌধুরী মূসা বলেন, মানবাধিকার বিষয়ে সকলেরই জানা উচিৎ। মানবাধিকার বিষয়ে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলক সেশন পরিচালনার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।