এম এ আজিজ রাসেল:
কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মাইজপাড়ায় পাহাড় কাটার মহোৎসব শুরু হয়েছে। স্থানীয় চিহ্নিত ভূমিদস্যু চক্র কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের কর্তাদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশ্য পাহাড় কেটে যাচ্ছে। এতে পরিবেশ হারাচ্ছে তার প্রাকৃতিক ভারসাম্য। অন্যদিকে পাহাড়ের আশপাশে বসবাসরত মানুষ চরম আতংকে রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাইজপাড়ার দানু মেম্বারের বাড়ির পার্শ্বে মীর আহমেদর পুত্র তিন সহোদর চিহ্নিত পাহাড়খেকো আবদুল গফুর, আবদুল মালেক ও আবদুল মান্নানের নেতৃত্বে বিগত এক সপ্তাহ ধরে পাহাড় ও পাহাড়ের টিলা কেটে সমতল করছে। প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অন্তত ১৫—২০ জন শ্রমিক পাহাড় কাটায় নিয়োজিত থাকে। শ্রমিকরা পাহাড় কেটে ২টি ডাম্পার গাড়িতে করে মাটি বিক্রি করছে বিভিন্ন সিন্ডিকেটের কাছে। নির্বিচারে পাহাড় কাটার কারণে বিভিন্ন স্থানে ফাটল সৃষ্টি হচ্ছে। তারা তিন ভাই কারো কথায় কর্ণপাত না করে পাহাড় কেটে যাচ্ছে। যেকোন মুহুর্তে পাহাড় ধসে প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা রয়েছে।
মাইজপাড়ায় বসবাসরত কয়েক জন প্রবীণ ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, তারা তিন ভাই কারো কথায় কর্ণপাত না করে পাহাড় কেটে যাচ্ছে। তাদের বাধা দিতে গেলে হামলা—মামলা করার হুমকি দেয়া হয়।
অভিযোগের বিষয়ে পাহাড় কাটায় জড়িত আবদুল গফুর বলেন, পাহাড়টি ছোট। পাহাড়ের টিলা কেটে সমতল করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ—পরিচালক নাজমুল হুদা বলেন, পাহাড়কাটার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কক্সবাজার সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার সুইটি বলেন, পাহাড়খেকোদের কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। তথ্য উপাত্ত নিয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হবে।