মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু:
বনের সুস্বাস্থ্যের প্রতীক ভাবা হয় হাতিকে। বাংলাদেশে হাতির খাদ্যের জোগান ও বাসস্থান দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে। জীববৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখতে হাতি সংরক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) হাতিকে বিশ্বজুড়ে বিপন্ন এবং বাংলাদেশে মহাবিপদাপন্ন প্রাণী হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় এদের বিস্তৃতি রয়েছে। কিন্তু রোহিঙ্গা শরনার্থীদের কারণে টেকনাফ ও কক্সবাজারের আবাসিক ও অনাবাসিক হাতির আবাসস্থল ধ্বংস, করিডোর বিনষ্ট ও খাদ্যের অভাবসহ নানা প্রতিকূলতার কারণে এশিয়ান হাতি লোকালয়ে চলে আসছে। ফলে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব বেড়েই চলেছে। হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসন এবং মহাবিপন্ন এই হাতি সংরক্ষণে সকলের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। রোববার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১২ টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দুর্গম দোছড়ি ইউনিয়নের দোছড়ি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে হাতি ও তার আবাসস্থল টেকসই সংরক্ষণ এবং হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনকল্পে গণসচেতনতা মূলক এক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। লামা বন বিভাগ, চট্টগ্রাম বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এর যৌথ উদ্যোগে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। নাইক্ষ্যংছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন খানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা আবু নাছের মুহাম্মদ ইয়াসিন নেওয়াজ । ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরীর সঞ্চালনায় কর্মশালায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটির ফরেস্টি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রাইহান সরকার,দোছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাবিবউল্লাহ। উপস্থিত ছিলেন নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা মাঈনুদিন খালেদ, প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহাজাহান, ইউপির সকল সদস্য, গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। কর্মশালায় বক্তারা মানুষ-হাতি সংঘাত নিরসনে ১০ সদস্যের একটি এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম গঠন, সচেতনতা বৃদ্ধি, হাতির অপছন্দের ফসল চাষ ও উচ্চপর্যায়ের কর্মশালার আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।