বিদেশ ডেস্ক:
ফিলিস্তিনের সঙ্গে স্থগিত হয়ে থাকা শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু করতে ইসরায়েলকে চাপ দিতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বিরল বৈঠক করেছেন জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি। বৃহস্পতিবার (০৩ ডিসেম্বর) দখলকৃত পশ্চিম তীরের বাদশাহ হুসেইন সেতু ক্রসিংয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাত অবসানের মূল বিষয় হচ্ছে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাঁয়ে ইসরায়েলের এবং ডানে জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

গত মাসের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেনের জয়ের পর ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন বাড়াতে চাইছেন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নেতা মাহমুদ আব্বাস। আর এই উদ্দেশে আরব সফরে বেরিয়েছেন তিনি। তারই অংশ হিসেবে সম্প্রতি জর্ডান সফর করেন মাহমুদ আব্বাস। আর এর পরেই ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন জর্ডানের মন্ত্রী।

পশ্চিম তীরের ইসরায়েল-জর্ডান সীমান্ত ক্রসিংয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেওয়ার কথা জানিয়েছে জর্ডানের কর্তৃপক্ষ। বৈঠকের পর জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি জানান, ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাবি আসকেনাজির সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত অবসানে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের কোনও বিকল্প নেই। সাফাদি বলেন, ‘শুধু শান্তি অর্জনের জন্য একটি সত্যিকার সমাধান খুঁজতে আন্তর্জাতিক আইনের অনুযায়ী দরকষাকষির টেবিলে ফেরা দরকার।’

উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সাল থেকে ইসরায়েল ও জর্ডানের মধ্যে শান্তি চুক্তি বহাল থাকলেও প্রায়ই এই দুই প্রতিবেশির মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক চলতে থাকে। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাবি আসকেনাজি গত মে মাসে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে তার সঙ্গে বৈঠকের কথা ঘোষণা দিয়েছে জর্ডান।

জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের আলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনায় ফেরা নিয়ে কথা উঠেছে। তিনি জানান, গত মাসে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলের সঙ্গে নিরাপত্তা সহায়তায় ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর তার জেরেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনা শুরুর তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণ পরিকল্পনা এগিয়ে নেওয়ায় গত মে মাসে তাদের সঙ্গে নিরাপত্তা সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। তবে গত আগস্টে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তি স্বাক্ষরের সময় ওই সম্প্রসারণ পরিকল্পনা স্থগিতের ঘোষণা দেয় ইসরায়েল।