সিবিএন ডেস্ক:
বরেণ্য অভিনেতা ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালটির ডেপুটি ডিরেক্টর ইখতিয়ার আহমেদ। তিনি বলেন, ‘গতকাল বিকেলের দিকে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালো।’

আসাদুজ্জামান নূরের অভিনয় জীবনের শুরু হয় ১৯৭২ সালে ‘নাগরিক’ নাট্যদলের মাধ্যমে। এই নাট্যদলের ১৫টি নাটকে তিনি ৬০০ বারের বেশি অভিনয় করেছেন। অভিনয় দিয়ে মুগ্ধ করেছেন টেলিভিশন ও সিনেমার দর্শকদেরও। টেলিভিশনে তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে ‘এইসব দিনরাত্রি’ (১৯৮৫), ‘অয়োময়’ (১৯৮৮), ‘কোথাও কেউ নেই’ (১৯৯০), ‘আজ রবিবার’ (১৯৯৯) ও ‘সমুদ্র বিলাস প্রাইভেট লিমিটেড’ (১৯৯৯)। রেডিওতে প্রচারিত তাঁর নাটকের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। টেলিভিশনের পাশাপাশি তিনি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো ‘শঙ্খনীল কারাগার’ (১৯৯২) ও ‘আগুনের পরশমণি’ (১৯৯৪)।

আসাদুজ্জামান নূর ১৯৬৩ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নে যোগ দিয়ে রাজনীতিতে আসেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। দেশ স্বাধীনের পর যোগ দেন কমিউনিস্ট পার্টিতে। এরপর দীর্ঘদিন প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে নিজেকে বিরত রেখে সংস্কৃতিকর্মী হিসেবে বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় থেকেছেন। ১৯৯৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে তিনি আবারও প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দেন। বর্তমানে নীলফামারী-২ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য তিনি। এ নিয়ে চারবার সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আগের মেয়াদে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

অভিনয় আর রাজনীতিবিদের বাইরে আবৃত্তিকার হিসেবে বেশ সুনাম রয়েছে আসাদুজ্জামান নূরের। সংস্কৃতিতে অবদান রাখার জন্য ২০১৮ সালে পেয়েছেন স্বাধীনতা পুরস্কার। দেশবরেণ্য অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর সর্বশেষ নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল পরিচালিত ‘গাঙচিল’ সিনেমায় অভিনয় করছেন।