মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

তিন দফায় আত্মসমর্পণকৃত ১৭৩ জন সশস্ত্র জলদস্যুকে পর্যায়ক্রমে গৃহনির্মাণের জন্য খাসজমি ও জীবিকা নির্বাহের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্র উপকূলে গত তিন বছরে তিন দফায় আত্মসমর্পণ করা জলদস্যু ও অস্ত্রের কারিগরকে বাড়ি, দোকান ও ক্ষুদ্র ব্যবসা বাণিজ্য করার জন্য খাস জমি বরাদ্দ প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এর দেওয়া নির্দেশনার প্রেক্ষিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন এ উদ্যোগ নিয়েছে।

কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম উপকূলের সশস্ত্র জলদস্যু ও অস্ত্রের কারিগর আত্মসমর্পণ কার্যক্রমের সফল মধ্যস্থতাকারী পেকুয়ার উজানটিয়ার সন্তান সাংবাদিক এম.এম আকরাম হোসাইন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান, এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে গত বুধবার ২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পেকুয়া উপজেলা প্রশাসনের সাথে ইউএনও এর কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ইউএনও মোহতাছেম বিল্লাহ, পেকুয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিকি মারমা, পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুর রহমান মজুমদার, সাংবাদিক এম.এম আকরাম হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এম.এম আকরাম হোসাইন সভা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে উল্লেখ করে আরো জানান, ক্ষুদ্র ব্যবসা বাণিজ্য করার মতো এবং বাড়ি নির্মাণ কারার মতো উপযুক্ত খাস জমি খুঁজে বের করার বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা প্রশাসন উদ্যোগ নেবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। খাস জমির স্থান নির্ধারন করার পর প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেসব খাস জমি বরাদ্দ দিয়ে আত্মসমর্পণ করা জলদস্যুদের সেখানে পূর্ণবাসন করা হবে। যাতে তারা স্বাভাবিক জীবন জীবিকা চালিয়ে যেতে পারে।

এশিয়ান টিভির চট্টগ্রাম অফিস প্রধান সাংবাদিক এম.এম আকরাম হোসাইন আরো বলেন, আত্মসমর্পণ করা জলদস্যুদের মধ্যে চকরিয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাসিন্দাও রয়েছে তাই পেকুয়ার মতো এসব উপজেলা প্রশাসনের সাথেও একই বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি’র নির্দেশনা অনুযায়ী দ্রুততম সময়ে মতবিনিময় সভা সভা করা হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর মহেশখালী সদরে ৪৩ জন সশস্ত্র জলদস্যু, ২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল মহেশখালীর কালারমার ছরায় ৯৬ জন, চলতি সালের গত ১১ নভেম্বর চট্টগ্রামের বাঁশখালীর জলদিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি, আইজপি সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মোট ১৭৩ জন জলদস্যু ও অস্ত্রের শীর্ষ কারিগর তাদের অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম, অস্ত্রশস্ত্র সহ আত্মসমর্পণ করেছিলো।