সিবিএন ডেস্ক:

বগুড়ার ধুনটে ধর্ষণ মামলার আসামিকে সহযোগিতা এবং অভিযোগকারীকে অসহযোগিতা করায় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) কে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার (২ ডিসেম্বর) জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে এসআই আহসানুল হককে প্রত্যাহার করা হয়।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ জানায়, গত ১৬ জুলাই সকালে আসামি রানা স্থানীয় ইউপি সদস্য ফজলুল হক বাবুর সহযোগিতায় সপ্তম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে রাস্তা থেকে অপহরণ করে। ছাত্রীর মা ১২ আগস্ট ধুনট থানায় মাসুদ রানা, ইউপি সদস্য ফজলুল হক বাবু, আবদুল হাই, আবদুল মান্নান, রুবেল হোসেন, সাথী খাতুন ও রুবিয়া খাতুনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে স্বজনরা গত ২৫ সেপ্টেম্বর ছাত্রীকে সিরাজগঞ্জের চান্দাইকোনা থেকে উদ্ধার করেন। পরে ধুনট থানা পুলিশ ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা ও আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করায়। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া যায়।

ছাত্রীর মা ও মামলার বাদী অভিযোগ করেন, মামলা দায়েরের প্রায় তিন মাস অতিবাহিত হলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আহসানুল হক আসামিদের কাউকে গ্রেফতার করেনি। উল্টো বাদীকে ইউপি সদস্য ফজলুল হকের নাম গোপন করতে নির্দেশ দেন। অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও মামলা তুলে নিতে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন।

পরে বিষয়টি বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা বিষয়টি জানতে পেরে তদন্তকারী কর্মকর্তা আহসানুল হককে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেন। তবে আহসানুল কবির এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।