বার্তা পরিবেশক :
উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়ন ব্যাপী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিরাপদ ব্যবহার, মিথ্যা তথ্য বা গুজব প্রতিরোধে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা হেলপ কক্সবাজার।

জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনারপাড়া, মনখালী ও পাইন্যাশিয়া যুব সমাজ, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সদস্যদের মাঝে সচেতনতামূলক এই ক্যাম্পেইন করা হয়।

হেলপ কক্সবাজার’র নির্বাহী পরিচালক আবুল কাশেম বলেন, হেলপ কক্সবাজার দীর্ঘ ২০ বছর ধরে উখিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে আসছে। আমরা বিশ্বাস করি যুব সমাজ, স্থানীয় সামাজিক সংগঠন গুলোই পারে সমাজের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন আমাদের জীবনকে সহজ করে তুলেছে ঠিক তেমনি এর অপব্যবহার সমাজে নিয়ে আসছে নানান ব্যধি। ফেইসবুকের নিরাপদ ব্যবহার সম্পর্কে আমাদেরকে জানতে হবে। গুজব, ভূয়া তথ্য ছড়ানো থেকে আমাদেরকে বিরত থাকতে হবে। কেননা ফেইসবুক হচ্ছে ডিজিটাল কোকেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ফেসবুক যেহেতু বন্ধ রাখার সুযোগ নেই তাই অতিব সতর্কতার সাথে এসব ব্যবহার করতে হতে হবে। তিনি, ধর্মীয় উগ্রতা ও উসকানিমূলক, নগ্ন কিংবা অপ্রয়োজনীয় কোন ছবি পোস্ট না করারও অনুরোধ জানান।

এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো গুজব মোকাবিলায় সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার করে পরিকল্পিতভাবে ভুয়া ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়ের গভীরে না গিয়ে আধুনিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক-প্ল্যাটফর্মে অনেকেই দেশ, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। সমাজের সব স্তরের মানুষকে এই মিথ্যা ও গুজবের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ইতিবাচক ব্যবহারে অভিভাবকদের আরও সচেতন হতে হবে। শিক্ষকদেরও এগিয়ে আসতে হবে।’

ক্যাম্পেইন পরিচালনায় ছিলেন, হেলপ কক্সবাজারের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ম্যানেজার জুনায়েদ চৌধুরী, অপারেশন অফিসার মো: ইউছুপ, প্রকল্প কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান, লিগ্যাল এইড অফিসার আশরাফুল হক চৌধুরী, এইচ আর মাহমুদুল হাসান তারেক, মাঠকর্মী মাখিন রাখাইন,তাজনোভা রিয়া, মধু বড়ুয়া।

উক্ত সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিরাপদ ব্যবহার, মিথ্যা তথ্য বা গুজব প্রতিরোধ, সাইবার অপরাধ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বিষয়ে সচেতন করা হয় এবং সচেতনতা সৃষ্টিতে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে টিশার্ট ও খাবার বিতরণ করা হয়।