ইমাম খাইর, সিবিএন:
কক্সবাজার জেলা কারাগারে মোঃ মোস্তফা নামের কয়েদি আত্মহত্যার ঘটনায় প্রধান কারারক্ষী আবু তাহেরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে।

বাকি দুইজন হলেন- সহকারী প্রধান কারারক্ষী ফখরুল ইসলাম ও কারারক্ষী বিল্লাল হোসেন।

এ ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন কারারক্ষী জাহাঙ্গীর আলম।

এছাড়া সর্বপ্রধান কারারক্ষী মো. হেলাল উদ্দিনের নিকট থেকে আগামী ৩ দিনের মধ্যে ‘লিখিত কৈফিয়ত’ তলব করা হয়েছে।

একই ঘটনায় কারারক্ষীয় ইকবাল হোসেনের নিকট থেকেও কৈফিয়ত চাওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) এসংক্রান্ত অফিসিয়াল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন জেল সুপার নেছার আলম।

তার আগে বিধি অনুসারে লিখিত অভিযোগ উত্থাপন করেন জেলার মোস্তফা কামাল।

জেলা কারাগারের একটি বিশ্বস্ত্র সুত্র মঙ্গলবার রাত ১১ টার দিকে মুঠোফোনে কক্সবাজার নিউজ ডটকম (সিবিএন)কে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, সোমবার (৩০ নভেম্বর) কারাভ্যন্তরেই কয়েদীর আত্মহত্যার ঘটনার পরপরই দুইটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

একটিতে ডেপুটি জেলার সাইদুল ইসলামকে প্রধান করা হয়েছে।

সার্জেন্ট ইন্সপেক্টর মামুনুর রশীদ ও একাউন্টেন্ট খন্দকার আজাদুর রহমানকে এই কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।

ঘটনার বিস্তারিত অনুসন্ধানপূর্বক দুই কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেল সুপার নেছার আলম।

একই ঘটনায় কারা হাসপাতালের ডাক্তার মোঃ শামীম রাসেলকে প্রধান ও ডাক্তার শামীম রেজাকে সদস্য করে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারাও ঘটনার বিস্তারিত জেনে প্রতিবেদন জমা করবেন।

মোঃ মোস্তফা (২৫) গলায় ফাঁস লাগিয়ে সোমবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আত্মহত্যা করেন। তার বাড়ি কক্সবাজার সদরের ইসলামাবাদ হরিপুর গ্রামে। তার পিতার নাম বশির আহমদ।

সদর আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান লুতুর উপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি ছিলেন মোঃ মোস্তফা।

মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে লাশটি স্বজনের কাছে হস্তান্তর করেছে জেল কর্তৃপক্ষ।

কারাভ্যন্তরে কয়েদীর আত্মহত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে জেল সুপার নেছার আলম সোমবার রাতে জানিয়েছিলেন, কারাবন্দীরা তাদের মেহমান। কয়েদী-হাজতিদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব কারা কর্তৃপক্ষের। কারাভ্যন্তরে কিভাবে আত্মহত্যা করল? এতে কারো অপরাধ-অবহেলা আছে কিনা? তা দেখা হচ্ছে।

ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটনের জন্য পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনের আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একজন কয়েদী কারাভ্যন্তরে কেনইবা আত্মহত্যা করলেন? জেলখানার ভেতরে আত্মহত্যার জন্য রশি কোথায় পেলেন? কারাগারের কেউ যন্ত্রণা দিয়েছে কিনা? এসব প্রশ্ন এখন ঘোরপাক খাচ্ছে। উত্তর পাচ্ছে না মোস্তফার স্বজনেরাও।