রিয়াজ উদ্দিন ,পেকুয়া :

পেকুয়ায় অগ্নিকান্ডে প্রবাসী দু’সহোদরসহ তিন ভাইয়ের বসতবাড়ি ভস্মীভূত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বসতবাড়ি মালিকের দাবী নাশকতার কুপরিকল্পনায় দুবৃর্ত্তরা পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনের তীব্র লেলিহান শিখায় বসতবাড়ি পুঁড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে রাজাখালী ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর ও ইউপি সদস্যরা পরের দিন সকালে অগ্নিকান্ডস্থান পরিদর্শন করেছেন। ২৮ নভেম্বর (শনিবার) রাত ১২ টার দিকে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের সুন্দরীপাড়া গ্রামে অগ্নিকান্ডের এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সুত্র জানায়, ওই দিন রাতে সুন্দরীপাড়ায় মৃত খাইরুজ্জামানের পুত্র জাহেদুল ইসলাম বাবুল, তার ২ ভাই প্রবাসী মহিউদ্দিন ও রেজাউল করিমের যৌথ বসতবাড়িতে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত ঘটে। মুহুর্তের মধ্যে আগুন সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় টিনের ছাউনির বসতবাড়িটি পুঁড়ে ছাই হয়ে যায়। পেকুয়ার সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিস খবর পেয়ে সেখানে যান। তবে ফায়ার স্টেশন পৌছানোর পূর্বেই বসতবাড়িটি সম্পূর্ণ ছাই হয়ে যায়। এতে করে বসতবাড়ির মালিকের প্রায় ২৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বসতবাড়ির মালিক জাহেদুল ইসলাম বাবুল জানান, রাতে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। বসতবাড়ির দক্ষিণ পূর্বকোনায় আগুনের সুত্রপাত হয়। শত্রুতার জের ধরে ঘরটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। পেট্রোল ছিটিয়ে ঘরের ছাউনিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। বসতবাড়ির পূর্বদিক দিয়ে পালানোর সময় পার্শ্ববর্তী বাড়ির মহিলারা অজ্ঞাত দুবৃর্ত্তদের পালিয়ে যেতে দেখেছে। ইলেট্টনিক্স পণ্য, স্বর্ণালংকার, নগদ ১ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা, পানির পাম্প মেশিন, আসবাবপত্র, তৈজসপত্র, কাপড় চোপড়, মূল্যবান কাগজপত্র, দলিল দস্তাবেজ আগুনে পুঁড়ে ছাই হয়ে যায়। বসতবাড়ির গৃহবধূ বাবুলের স্ত্রী ছাবেকুন্নাহার বলেন, পরিকল্পিত আগুনে সব কিছু পুঁড়ে ছাই হয়ে গেছে। ৩০ টি কবুতর আগুনে পুঁড়ে মারা যায়। মহিউদ্দিনের স্ত্রী ফারহানা খানম বলেন, পেট্টোল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। পালানোর সময় আমাদের পূর্বপাশের বসতবাড়ির মহিলারা দেখে ফেলেছে। সর্বনাশ হয়েছে আমাদের সংসারের। প্রতিবেশী জোসনা বেগম বলেন, শত্রুতায় আগুন ধরিয়ে দেয়। আমার ভিটার বাঁশের ঘেরা উপড়িয়ে ওরা পালিয়ে যায়। আমি ৪ জনকে দেখেছি। তবে চিহ্নিত করা যায়নি। জিয়া কলেজের ছাত্র সাকের উল্লাহ জানান, বসতবাড়ি পুঁড়ে গেছে। বসতির ২০/৩০ টি নারিকেল গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছও আগুনে পুঁড়ে গেছে। প্রতিবেশী রফিকুল ইসলাম বলেন, আগুন ধরেছে ছালের উপরে। আমরা নিশ্চিত কিছু ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। মহিলারাতো দেখেছে কয়েকজনকে পালানোর সময়। রাজাখালী ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর বলেন, আমার যে টুকু ধারণা শত্রুতা করে কে বা কারা এ আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। পরিবারগুলো এখন কঠিন মানবেতর অবস্থায়।