সিবিএন ডেস্ক:
পদবি আর খেতাব মিলিয়ে ব্রিটিশ রাজকুমার প্রিন্স ফিলিপের নামের শেষে ১৩৩ শব্দ যোগ করা যায়। ডিউক, আর্ল, ব্যারন, রয়্যাল নাইট, আরও কত কী! তবে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত যে পরিচয়, তা কিন্তু নেই। ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী হলেও তিনি কিন্তু রাজা নন।

ব্রিটিশ রাজপরিবার সম্পর্কে খানিকটা জানাশোনা থাকলে আপনি জানেন, রাজার স্ত্রীকে রানি ডাকা হয়। বর্তমান রানির মা (তিনিও এলিজাবেথ) এর সাম্প্রতিকতম উদাহরণ। এলিজাবেথের স্বামী রাজা চতুর্থ জর্জ ব্রিটিশ সিংহাসনে বসলে তাঁকে ‘কুইন এলিজাবেথ’ নামে ডাকা শুরু হয়। অর্থাৎ এলিজাবেথ রানি উপাধি পান বৈবাহিক সূত্রে। তাহলে দ্বিতীয় এলিজাবেথ রানি হওয়ার পরও প্রিন্স ফিলিপ কেন রাজা ফিলিপ হলেন না? এর মূলে রয়েছে পুরুষতান্ত্রিকতা।

‘রিডার্স ডাইজেস্ট’ সাময়িকীর এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, যদিও যুক্তরাজ্যের সংসদীয় আইনে রাজ্য পরিচালনায় উত্তরাধিকার নির্ধারণে নারী-পুরুষে ভেদাভেদ করা হয় না। তবে পদবি নির্ধারণে বৈষম্য রয়েই গেছে। সচরাচর, কোনো নারী তাঁর স্বামীর পদবির স্ত্রীবাচক রূপ পেয়ে থাকেন। সে কারণেই প্রিন্স হ্যারিকে ডিউক অব সাসেক্স ঘোষণা করা হলে মেগান মার্কেল হয়েছেন ডাচেস অব সাসেক্স। আর প্রিন্স উইলিয়াম রাজা হলেও কেট মিডলটন হবেন কুইন ক্যাথেরিন।

অন্যদিকে স্বামীরা তাঁদের স্ত্রীর সঙ্গে মানিয়ে পদবি পান না। বিশেষ করে রাজপরিবারে। আলংকারিক অর্থে ‘রানি’র ব্যবহার থাকলেও রাজা কেবল ক্ষমতাবলেই হয়ে থাকেন। অর্থাৎ রাজার স্ত্রী রানি হলেও ক্ষমতাসীন রানির স্বামী রাজা নন।

ব্রিটিশ রাজপরিবারে একসময় কন্যার চেয়ে পুত্রকে প্রাধান্য দেওয়া হতো। পুরুষতান্ত্রিক সে সরকারব্যবস্থার কিছুটা রয়ে গেছে এখনো। হয়তো সে কারণেই এক সেট তাসে রাজা সব সময় রানির আগেই থাকেন।