মো: নাজমুল সাঈদ সোহেল ,চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় বিয়ের মেহেদী না মুছতেই প্রতিপক্ষের হাতে নির্মম ভাবে খুন হলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা । চকরিয়া থানা পুলিশ স্টেশন এর নিকটবর্তী পৌরসভাৱ ৪নং ওয়ার্ডের ভরামুহুরী এলাকায় জমি দখলের ঘটনায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সোহেল (২৭)নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৮ নভেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ৫/৬ জন আহত হয়েছে। নিহত সোহেল চকরিয়া পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও পৌরসভার পালাকাটা গ্রামের আবদু রকিমের ছেলে । এনিয়ে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। চকরিয়া থানা পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়া পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ডের ভরামুহুরী হাজী পাড়া এলাকার মৃত আহমদ শফির পুত্র নুর হোছাইন গং ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন হক জেসি চৌধুরীৱ সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমির বিরোধ চলছে।ভুক্তভোগী ও বিবাদিপক্ষের লোকজন উভয়ে জমির দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠে দীর্ঘকাল যাবত। বিরোধকৃত জমি দখল পূর্বক নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য অব্যাহত চেষ্টায় নুর হোছাইন গংদেৱ হামলায় নিহত হন সাবেক ছাত্রনেতা সোহেল।
স্থানীয়রা আৱো জানিয়েছেন, উভয় পক্ষের মধ্যে জমি-জমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসলেও থানা সেন্টার এলাকাস্থ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও চাঁদা দাবীর মতো সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে ঘায়েল করার চেষ্টা চালিয়ে আসছেন নূর হোসেন গং ।
নাম প্রকাশ করার না করার শর্তে ছন্দ নাম কৱিম বলেন, নুর হোছাইন গং সোহেল হত্যায় জড়িত ভূমিদস্যু নুরুল আলম,নুর হোছন,আইয়ুব,বশির,আলী হোছন,সোলতান গং- সর্বসাং : ভৱামহুৱী চাৱ নাম্বার ওয়ার্ড চকৱিয়া পৌরসভা তাদের হামলায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সোহেল। এসময় স্থানীয়রা উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছালেও জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে এই নারকীয় হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান স্থানীয় এলাকাবাসী , শুভাকাংঙ্কী ও দলীয় নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে উভয় পক্ষের সাংঘর্ষিক হামলায় নিহত হন সোহেল নামের এক যুবক। উক্ত ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নিহতের লাশ থানা হেফাজতে নিয়ে আসার পর ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে জানান।