ইউসুফ আরমান :

কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সদস্য গরিবের আইনজীবী হিসেবে খ্যাত বিজ্ঞ আইনজীবী অরূপ বড়ুয়া তপু আইন পেশায় ২০ বছর পূর্ণ করলেন । ২০০০ সালের ২৭ নভেম্বর আইন অঙ্গনে তার যাত্রা। ওকালতিকে কখনো ব্যবসা হিসেবে দেখেননি, নিয়েছেন ব্রত হিসেবে। গরিব-দুঃখী ও মেহনতি মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন। আইন পেশায় ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আইনজীবী ও শিক্ষানবিশ আইনজীবীর অভিনন্দন ও শুভেচ্ছায় সিক্ত হন বিজ্ঞ আইনজীবী অরূপ বড়ুয়া তপু।

আইন অঙ্গনে প্রথম দিনটির কথা স্মরণ করে বিজ্ঞ আইনজীবী অরূপ বড়ুয়া তপু বলেন, ‘২০০০সালের ২৭ নভেম্বর যখন আইন পেশায় প্রবেশ করি, আজ সেই দিনটির কথাই বিশেষভাবে মন করিয়ে দিলো আমার জুনিয়রেরা আমাকে না জানিয়ে সারপ্রাইজের মাধ্যমে। বয়সে নয়, আইন পেশায় ২০ বছর পূর্ণ হয়েছে ইতি মধ্যে।

শুধু নিজ পেশার মানুষের জন্যই নয়, গরিবের আইনজীবী হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন যাদের জন্য, সেসব হতদরিদ্র মানুষকে ন্যায়বিচার পাইয়ে দিতে তিনি অসংখ্য মামলা লড়েছেন বিনা পারিশ্রমিকে। এখনো তার এই ধারা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন এ আইনজীবী।

আইনজীবী প্রতিভা দাশ, শওকত বেলাল, সম্যক দৃষ্টি বড়ুয়া, রিদুওয়ান আলী, মোহাম্মদ হারেছ, মামুনর রশিদ মামুন, ও শিক্ষানবিশ আইনজীবী ইউসুফ আরমান, রাজিব দাশ রাজু, নারায়ণ দাশ নিহার, এবং বিজ্ঞ আইনজীবী অরূপ বড়ুয়া তপুর সহধর্মীনি নুপুর ও সহকারী ক্লার্ক মানিক দাশের সংবর্ধনা পাওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন।

‘পেশায় ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছি
আমি ব্যর্থ হয়েছি-ঘুরে দাঁড়িয়েছি
আমি দুঃখ পেয়েছি-সামলে নিয়েছি
আমি ভুল করেছি-শিক্ষা নিয়েছি।
আমি অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও
লড়াই করে বেঁচে আছি।
আমি নিখুঁত নই, আমি একজন মানুষ
আমি গরিবের আইনজীবী।’

গরিবের আইনজীবী হিসেবে পরিচয় দিতে বেশি পছন্দ করেন। কক্সবাজার আদালত অঙ্গনে সব আইনজীবীও যাঁকে এই এক নামেই চেনেন।

‘প্রথমদিকে অনেক দুঃখ-দুর্দশায় জীবন কাটলেও পরে তা কাটিয়ে উঠি।’ নিজেকে গরিবের আইনজীবী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সব সময়ই দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি, আছি, আজীবন থাকবো।’