বার্তা পরিবেশক : যৌতুকের টাকায় বিদেশ গিয়ে স্ত্রীকে পিটিয়ে ঘর ছাড়া করেছে স্বামীর স্বজনেরা। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৬ অক্টোবর দুপুর ২ ঘটিকায় পার্বত্য নাইক্ষংছড়ি থানার বাইশারী ইউনিয়নের ২ নং ওযার্ডের ছোট ডলুর ঝিরি গ্রামে।

জানা যায়, বাইশারী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের আলীক্ষং মিরঝিরি গ্রামের ফুল মিয়ার মেয়ে রোকসানা আখতারের সাথে বাইশারী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ছোট ডলুর ঝিরি গ্রামের আইয়ুব আলী জমাদারের পুত্র জাহাঙ্গীর আলমের সহিত বিগত ১০/০১/২০০৪ ইং তারিখে কাবিনা নামা মুলে বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহের পর তাদের সংসারে ৩ টি সন্তান ও আসে। স্বামী জাহাঙ্গীর আলম জীবন জীবিকার প্রয়োজনে দেশের বাহিরে অর্থাৎ ওমানে যাওয়ার জন্য স্ত্রী রোকসানা আখতারকে পিতার কাছ থেকে যৌতুকের টাকা এনে দিতে চাপ সৃষ্টি করলে রোকসানা আখতারের পিতা ফুল মিয়া মেয়ের ভবিষ্যতে কথা চিন্তা করে হালের গরু বিক্রি করে নগদ ২ লক্ষ ৮০ হাজার যৌতুকের টাকা প্রদান করেন। স্ত্রীর পিতার টাকায় জাহাঙ্গীর আলম প্রবাসে চলে যায়। কয়েক বছর পর ওমান ভিসার বকেয়া ১ লক্ষ টাকা দিতে হচ্ছে দাবী করে স্ত্রী রোকসান আখতারের কাছে আবারো মোবাইল ফোনে ১ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করেন। যৌতুক দিতে ব্যর্থ হওয়ায় রোকসানা আখতারকে গত ১৬ /১০/২০২০ দুপুর ২ ঘটিকায় তার শাশুড় আইয়ুব আলী জমাদার শাশুড়ি হাজেরা বেগম ননদী সকিনা বেগম মিলে মারধর করে তার ৩’সন্তানসহ এক কাপড়ে স্বামীর বাড়ী থেকে বের করে দেয়।বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ভাবে বৈঠক হলে ও মিমাংসা করা সম্ভব হয়নি।

অবশেষে গত ২৬ নভেম্বর রোকসান আখতার বাদী হয়ে বান্দরবান চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুক আইনে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করে। আদালত আসামীদের স্বশরীরে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারী করেন।

রোকসানা আখতার জানান, তার শাশুড় বাড়ীর লোকজন তাকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে এবং ঠিকানা গোপন করে কক্সবাজার আদালতে রোকসানা আখতার ও তার ভাই মোশারফের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করছে।ওই মামলাটি রামু থানায় তদন্তের জন্য প্রেরন করেছে আদালত।
তিনি মিথ্যা মামলা হতে অব্যাহতি ও তাকে অমানবিক মারধরের বিচার দাবী করেছেন।