সিবিএন ডেস্ক:
সাংবাদিক ও প্রেস শ্রমিকদের আয়কর ও আনুতোষিক (গ্র্যাচুইটি) সংক্রান্ত নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডের মূল রোয়েদাদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সুপারিশের বৈধতা প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

বুধবার এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীম সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

রুলে মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশে নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডের দ্বাদশ অধ্যায়ে সংযুক্ত সাংবাদিক ও প্রেস শ্রমিকদের আয়কর ও আনুতোষিক (গ্র্যাচুইটি) সংক্রান্ত বিধান কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তথ্য সচিব ও শ্রম সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ড. কাজী আকতার হামিদ ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড বোয়েদাদ, ২০১৮ এর দাখিলকৃত সুপারিশসমূহের সঙ্গে মন্ত্রিসভা কমিটি সুপারিশ গ্রহণ করে জারি করা গেজেটের দ্বাদশ অধ্যায়ে বলা হয়েছে, ‘সকল শ্রেণির সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থায় কর্মরত সাংবাদিক, প্রেস শ্রমিক এবং প্রশাসনিক কর্মচারীগণের বেতনের ওপর আরোপিত আয়কর সাংবাদিক, প্রেস শ্রমিক ও প্রশাসনিক কর্মচারীগণ কর্তৃক তাদের নিজ নিজ আয় হতে প্রদান করতে হবে।

সকল শ্রেণির সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থায় কমর্রত সাংবাদিক, প্রেস শ্রমিক এবং প্রশাসনিক কর্মচারীগণ প্রত্যেক বছরে অথবা তার অংশ বিশেষ ছয় মাস বা এর অধিক সময় চাকরির জন্য সর্বশেষ প্রাপ্ত বেতনের ভিত্তিতে নির্ধারিত এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ আনুতোষিক (গ্র্যাচুইটি) হিসেবে প্রাপ্য হবেন।’

গত রবিবার বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুবুজ্জামান এই দুটি বিধান চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন করেন। রিটটি দাখিল করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কামরুল ইসলাম (মিলন)।