এইচ,কে রফিক উদ্দিন :
উখিয়ার কুতুপালং,বালুখালী,থাইংখালী,পালংখালীও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ব্যাঙের ছাতার মত নব্য গড়ে উঠা বাজারে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ছাড়াই ব্যবসা বানিজ্য করে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্টানে অগ্নিদূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে নেই নির্বাপক যন্ত্রটি। ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটলে হঠাৎ কোন প্রতিকার ব্যবস্থা নেই।

জানা যায়, আইন না মেনে চালিয়ে যাচ্ছে ব্যবসা। ঝুঁকিপূর্ণ এ জ্বালানির যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখছেনা। ব্যবসা পরিচালনায় কাগজপত্রাধিও অধিকাংশই দোকানে নেই। আইনগত বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে অবগত থাকলেও তদারকির অভাবে ঝূঁকি জেনে তারা সনদ ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছাড়া ব্যবসা করে যাচ্ছে অনেকেই।

এমনকি উখিয়া সদর,কুতুপালং, বালুখালী,পালংখালী বাজারে কয়েক ব্যবসায়ীক প্রতিষ্টানে অগ্নিনিবার্পক যন্ত্র থাকলেও অধিকাংশ দোকানে এটির দেখা মিলছেনা। আগুনের ক্ষেত্রে প্রথম ধাপে এটি যে কতই গুরুত্ব বহন করে,সেটির বিষয়ে তাদের হয়ত ভালভাবে জানা নেই।

রোহিঙ্গা অর্ধ্যুষিত কয়েকটি বাজারের গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ীর মতে,তাদের অধিকাংশ দোকানে অগ্নি নিবার্পক যন্ত্র নেই। সেটির কাজ কি তারা অনেকেই জানেন না।

দেখা যায়, বিস্ফোরক অধিদপ্তরের সনদ ছাড়াই স্থানভেদে বহুগ্যাস সিলিন্ডার দোকানে মজুদ করেছে ব্যবসায়ীরা। এসব দোকানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গ্যাস বোঝাই সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। উখিয়ার উপজেলার প্রায় হাট বাজারের বিভিন্ন স্থানে হার্ডওয়্যার-সামগ্রী বিক্রেতা, সিমেন্ট এবং মনিহারি-সামগ্রীর দোকান, মুদির দোকান ইজিলোডের দোকানেও গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। যার কারণে সর্বত্র সিলিন্ডার ব্যবসা জমে উঠছে হরদম।

সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ দেখার পরেও এসবের বিরুদ্বে অভিযান না করায় হতাশ হয়ে পড়েন মানুষ। ফায়ার সার্ভিস কতৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ করেন সচেতন এলাকাবাসী।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ,ফায়ার সার্ভিসের কক্সবাজার জোনের উপসহকারী পরিচালক, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন,অাগুনের ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কমাতে আমরা মাঠে বিভিন্ন সচেতন মুলক মহড়া বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি,পাশাপাশি লাইসেন্স বিহীন অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

এই প্রসঙ্গে, পরিকল্পিত উখিয়া চাই” এর আহবায়ক সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন,প্রত্যেক দোকানে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র থাকা কিন্তু জরুরী। অগ্নিকান্ডের মত দূর্ঘটনা ঘটলে ঐ যন্ত্রটি কাজে লাগতে পারে।