সোয়েব সাঈদ ॥
রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেএম আজমিরুজ্জামান বলেছেন-মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অবস্থান আরো কঠোর হবে। মাদক ব্যবসায়ি বা সেবনকারিদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। এসব অপরাধিদের ধরতে পুলিশের তৎপরতা চলছে। আটক হওয়া মাদক ব্যবসায়িকে ছেড়ে দেয়ার জন্য কেউ সুপারিশ করলে তাকেও আটক করা হবে। শুধু মাদক নয় চুরি-ডাকাতি, সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টিকারি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারিদের বিরুদ্ধে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন-থানায় সেবা পেতে হলে কোন টাকা পয়সার দিতে হয় না। পুলিশ ধনী-গরিব সবার নিরাপত্তা ও কল্যাণে কাজ করছে। যদি পুলিশের কোন সদস্য অনিয়ম করলে তাদেরও ছাড় দেয়া হবে না।
রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মধ্যম মেরংলোয়া বড়ুয়াপাড়ায় আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রবিবার (২২ নভেম্বর) বিকাল চারটায় রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহার সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত এ সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন-ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম।
৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লিটন বড়ুয়ার সভাপতিত্বে এবং ক্রীড়া সংগঠক ও যুবলীগ নেতা পলক বড়ুয়া আপ্পুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বৌদ্ধ এক্য কল্যাণ পরিষদ সভাপতি তরুন বড়ুয়া, রামু উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক রেফারী সুবীর বড়ুয়া বুলু, কক্সবাজার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কর্মকর্তা তিলক বড়ুয়া, ফতেখাঁরকুল ইউপি সদস্য মোহাম্মদ কামাল, রামু উপজেলা বৌদ্ধ যুব পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিপুল বড়ুয়া আব্বু, সাংবাদিক সোয়েব সাঈদ প্রমূখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে ত্রিপিটক পাট করেন-লিটন বড়ুয়া। এতে এলাকার শতাধিক জনতা উপস্থিত ছিলেন।
ক্রীড়া সংগঠক ও জেলা যুবলীগ নেতা পলক বড়ুয়া আপ্পু জানিয়েছেন-এলাকায় সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক অপরাধ, মাদকের প্রসার বৃদ্ধি পাওয়ায় এ উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়। উঠান বৈঠক হলেও এতে শত শত জনতা উপস্থিত হয়ে সকল অপরাধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সোচ্ছার ভূমিকা পালনের অঙ্গীকার করেন। তিনি এলাকাবাসীর আহবানে সাড়া দিয়ে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আন্তরিক প্রচেষ্টার জন্য রামু থানা পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।