সিবিএন ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “জাতির পিতা প্রর্বতিত ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়’ – এই মূলমন্ত্র দ্বারা আমাদের বৈদেশিক নীতিমালা পরিচালিত। প্রতিবেশী সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে আমরা বিশ্বাসী। তবে, যে কোনো আগ্রাসী আক্রমণ থেকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমরা সদা-প্রস্তুত ও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।”

‘সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধুর প্রতিরক্ষানীতি ১৯৭৪-এর আলোকে আমরা ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় সশস্ত্র বাহিনীকে সাংগঠনিকভাবে পুনর্গঠন, উন্নত প্রশিক্ষণ প্রান এবং বিশেষায়িত সামরিক সজ্জায় সজ্জিত করা হচ্ছে’, যোগ করেন শেখ হাসিনা।

‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২০’ উপলক্ষে আজ শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারি টেলিভিশন এবং রেডিও চ্যানেলে একযোগে এ ভাষণ সম্প্রচার করা হয়।

এর আগে আজ সকালে ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে। প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তাঁদের সামরিক সচিবেরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে সম্মিলিতভাবে শ্রদ্ধা জানান সেনা বাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌ বাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল এবং বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত।

বিকেলে তিন বাহিনীর প্রধান গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।