সিবিএন ডেস্ক:

শীতের সময় দেশে করোনাভাইরাসের আরেক দফা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা শুরু থেকেই করা হচ্ছিল। সেই শঙ্কা বাস্তব করে গত কিছুদিন ধরে নতুন সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেতে দেখা যাচ্ছে। নভেম্বরের শুরু থেকেই দেশে শীতের আবহ তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে গত ১০ দিনে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যবিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত ১১ থেকে ২০ নভেম্বর- এই ১০ দিনে চট্টগ্রামে মোট এক হাজার ৪৪৯ জন নতুন করে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। আশঙ্কার দিক হলো এর মধ্যে এক হাজার ১৪২ জনই চট্টগ্রাম নগরের বাসিন্দা। বাকি ৩০৭ জন জেলার ১৫ উপজেলার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিভাগ। এই সময়ের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন চারজন।

এই ১০ দিনের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) দ্বিতীয় দফায় সর্বোচ্চ ১৯৭ জন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হন। সবচেয়ে কম ৬৩ জনের করোনা শনাক্ত হয় গত ১৪ নভেম্বর। এছাড়া গতকাল শুক্রবার (২০ নভেম্বর) চট্টগ্রামে এক হাজার ৬৭টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১৪৫ জন। ১৮ নভেম্বর এ সংখ্যা ছিল ১৬১, ১৭ নভেম্বর ১৭৮, ১৬ নভেম্বর ১৫৭, ১৫ নভেম্বর ১৮১, ১৩ নভেম্বর ১৮৬, ১২ নভেম্বর ১০৮ ও ১১ নভেম্বর করোনা শনাক্ত হয় ১১৩ জনের।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বি জাগো নিউজকে বলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ইতোমধ্যেই আমাদের সমাজে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। শহরাঞ্চলে মানুষ খুব বেশি সংখ্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন। গ্রামে পরীক্ষার প্রবণতা কম থাকায় সঠিক চিত্রটা হয়তো আমরা পাচ্ছি না।’

তিনি বলেন, ‘আগেই বলা হয়েছিল শীত মৌসুমে করোনার প্রকোপ বাড়বে, নাগরিকদের নিজেদের সুরক্ষায় এখনই সচেতন হতে হবে। তবে প্রথমবারের মতো এখনো করোনায় আক্রান্ত হয়ে জটিল রোগীর সংখ্যা ততটা বেশি নয়। আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য আমাদের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে।’

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার পরিস্থিতি জানিয়ে তিনি বলেন, শুক্রবার চট্টগ্রামে এক হাজার ৬৭টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৫ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২৩ হাজার ৫৬৪ জন। এদিন চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যু হয়েছে একজনের।