জে.জাহেদ, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :

নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন আগ্রাবাদ বাদামতলী এলাকায় গত ১২ নভেম্বর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম প্রকাশ মারুফ চৌধুরী মিন্টু (৩০) কে যুবলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা হত্যার সাথে জড়িত পলাতক আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তাতের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেন নিহতের পরিবার।

বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) বিকাল ৩ ঘটিকার সময় চট্টগ্রাম প্রেসকাবের এস রহমান হলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করার মাধ্যমে নিহতের বড় বোন রোজী চৌধুরী বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত সাত জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে ডবলমুরিং থানায় মামলা দায়ের করা হলেও ১নং আসামী মো: রমজান আলীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং বাকি আসামী মোস্তফা কামাল টিপু, মো: নাহিদ, মো: মাহাবুব, ফয়সাল খান, মো: শাহেদ ও মো: রাব্বি অধরা থেকে যায়। অথচ সাত জন আসামীর মধ্যে ১নং আসামী গ্রেপ্তার হলেও ৩নং আসামী মোঃ নাহিদ ছাড়া বাকি আসামী মোস্তফা কামাল টিপু, মো: মাহাবুব, ফয়সাল খান, মো: শাহেদ ও মো: রাব্বি উচ্চ আদালতে সময়ের প্রার্থনার আবেদন করলে উচ্চ আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পন করার নিদের্শ প্রদান করেন বলে জানান নিহতের বড় বোন রোজী চৌধুরী।

তিনি তার বক্তব্যে আরো বলেন, আসামীরা উচ্চ আদালত থেকে সময় পাওয়ার পর নিহতের পরিবারের সদস্যদের হুমকি ধমকি দিয়ে আসছেন। এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হত্যাকারীরা কার প্ররোচনায় এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে জানতে চাইলে নিহতের বড় বোন বেদনা ভারাক্রান্ত মন নিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ২৮নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম বাহাদুর ও বিদেশ ফেরত আব্দুর রহিম আরসেনি এর প্ররোচনায় এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে জানায় এবং আসামীরা এলাকায় চাঁদাবাজী, কিশোর গ্যাং, হত্যা, ইয়াবা ব্যবসার সামাজ্য গড়ে তুলেন বলে জানান নিহতের পরিবার।

এসময় তিনি আরো বলেন, ২নং আসামী মোস্তফা কামাল টিপু সিএমপি’র তালিকাভুক্ত কিশোর গ্যাং লিডার। এবং ৪নং আসামী মো: মাহাবুবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৭/৮টি মাদক সহ আরো অন্যান্য মামলা রয়েছে বলে জানান। তিনি বলেন, এত বড় একটা ঘটনার পর কিভাবে আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়, হুমকি প্রদান করে এবং আসামীরা ফেসবুকে সরব থাকে। আসামীরা প্রকাশ্যে চলাফেরা করায় নিহতের পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেন এবং প্রশাসনের কাছে ছোট ভাই মারুফ চৌধুরী মিন্টুর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করে নিহতের পরিবার।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিহতের মা রহিমা খাতুন, স্ত্রী রুবি আক্তার তাশি, বড় বোন রুবি আক্তার, বড় ভাবি সুমি চৌধুরী, নিহতের শাশুড়ি দিলোয়ারা বেগম, নিহতের শ্বশুড় মো: আলমগীর, নিহতের ভগ্নীপতি জাকির হোসেন প্রমুখ।