শাহেদ মিজান, সিবিএন:
কক্সবাজার শহরের কলাতলী হোটেল-মোটেল জোনস্থ সৈকত পাড়ায় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই নির্মাণ হচ্ছে একটি বহুলতল ভবন। হিমছড়ি এলাকার দুবাই প্রবাসী মাহমুদুলল হক নামে এক ব্যক্তি অবৈধভাবে এই ভবন নির্মাণ করছে। শুধু তাই নয়: ভবন নির্মাণে মানা হচ্ছে না বিল্ডিং কোডও। অন্যদিকে এই নির্মাণাধীন ভবনের লাগোয়া রয়েছে কউকের মাস্টার প্ল্যানের আওতাভুক্ত একটি সড়ক। এই নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা চলছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সৈকত পাড়া নুর মসজিদ সংলগ্ন উত্তর-দক্ষিণ সড়কটি কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাস্টার প্ল্যানের আওতায় পড়েছে। এই সড়ক লাগোয়া পূর্বপাশে কামরুল ও বাবুলের বাড়ির মধ্যখানের প্রায় ৫ গন্ডা জায়গার উপর প্রবাসী মাহমুদুল হক নির্মাণ করছে ৮ তলা বিশিষ্ট ভবন। কয়েক দিন ধরে রাতদিন বেশ কিছু শ্রমিক দিয়ে তাড়াহুড়া নির্মাণ কাজ চালানো হচ্ছে। কিন্তু একদিকে জায়গাটি খাস, অন্যদিকে নেই উন্নয়ন কর্তপক্ষের অনুমোদন। অনমোদন বিহীন মনগড়া নির্মাণাধীন এই ভবনে মানা হচ্ছে না বিল্ডিং কোডের কোনো নিয়ম।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভবন নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে সব সরঞ্জাম মজুদ করা হয়েছে এবং পিলারেরর জন্য ফাইলিংও করা হয়েছে। কিন্তু বিধি মতে চার পাশে রাখা হয়নি তিনফুট জায়গা।
জানা গেছে, এটি খাস জায়গা হলেও অন্য স্থানের দাগের দলিল দেখিয়ে এই জায়গাটিকে দাবি করা হচ্ছে রেজিস্ট্রার্ট। কউকের অনুমোদন ছাড়া খাস জমিতে বহুতল এই ভবন নির্মাণে প্রবাসী মাহমুদুল হককে অবৈধ সহযোগিতা করছে স্থানীয় কামরুল। মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে কউকের অনুমোদনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এই অবৈধ ভবন নির্মাণে মালিক মাহমুদুল হককে সহযোগিতা করছেন এই কামরুল।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কউকের অনুমোদন না নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন মাহমুদুল হক। তবে জায়গাটি খাস নয় বলে দাবি করেন। কউকের অনুমেদন ছাড়া বহুতল নির্মাণ করা হচ্ছে, তা জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
স্থানীয়রা বলছেন, কউকের মাস্টার প্ল্যানের সড়ক লাগোয়া এভাবে অনুমোদনহীন বহুতল ভবন নির্মাণ করলে আগামীতে ওই সড়ক নির্মাণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে। তাই এই ভবন নির্মাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অ.) ফোরকান আহমদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকার সচেতন লোকজন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অ.) ফোরকান আহমদ বলেন, অনুমোদন ছাড়া বহুতল ভবন নির্মাণের বিষয়টি আমাদের নজরে আসেনি। মাঠ কর্মকর্তা পাঠিয়ে আমরা খবর নিচ্ছি। পরে ওই নির্মাণাধীন ভবনের মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।