রিয়াজ ইদ্দিন, পেকুয়া:
পেকুয়ায় সোনাইছড়ি সেচ প্রকল্পের স্কিমের ড্রেন দখলে নিতে দু’পক্ষের মধ্যে বিরাজ করছে উত্তেজনা। রবি মৌসুমে সেচ প্রকল্পের পানি থেকে বিলে ফসল উৎপাদন করা হয়। পানি ও সেচ সরবরাহ দিতে কৃষকরা খালে স্কিম বসায়। এ দিকে পানি ও সেঁচ প্রকল্পের স্কিমের ড্রেনের জায়গা জবর দখলে নিতে দু’পক্ষের মধ্যে আধিপত্য দেখা দিয়েছে। উপজেলার টইটং ইউনিয়নের নাপিতখালী দক্ষিনপাড়া গ্রামে ড্রেন দখল নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় সুত্র জানায়, টইটং ইউনিয়নের নাপিতখালী দক্ষিণপাড়া নামক স্থানে পানি ও সেচ প্রকল্পের জন্য স্থানীয় কৃষক ড্রেন তৈরী করে। শুষ্ক মৌসুমে রবি ফসল উৎপাদনের জন্য ওই ড্রেনটি খনন করা হয়েছে। নাপিতখালী দক্ষিণপাড়া বিলে ওই ড্রেনের পানি সরবরাহ দিয়ে প্রায় ১শ একর জমিতে বুরো চাষ হচ্ছে। বিগত ৪ বছর আগে স্কিম মালিক ছৈয়দ নুরসহ ৬০/৭০ জন কৃষক ওই ড্রেনটি তৈরী করে। প্রতি বছর ওই ড্রেনের আওতায় প্রায় ১শ একর জমিতে রবি ফসল উৎপাদন হয়। টইটং খালের নাপিতখালী দক্ষিণপাড়া অংশে স্কিম মালিক ছৈয়দ নুর নদী থেকে সুপেয় পানি সরবরাহ দিচ্ছিলেন ওই ড্রেন দিয়ে। সুত্র জানায়, নাপিতখালীর দক্ষিণপাড়ার মৃত আমজাদ হোসেনের স্ত্রী রওশন আক্তারসহ একটি ভূমিদস্যুচক্র ড্রেনটির শ্রেনী পরিবর্তন কাজে হাত দিয়েছে। ১৭ নভেম্বর সকালে আমজাদ হোসেনের স্ত্রী রওশন আক্তার ড্রেনটি মিশিয়ে দিতে প্রস্তুতি নেয়। তার অনুগত ২০/৩০ জনের ভাড়াটে বহিরাগত লোকজন সেখানে গিয়ে ড্রেনের বেড়িবাঁধ অংশে প্রায় ৪ চেইন জায়গা কাটাতারের বেড়া ও আরসিসি পিলার দিয়ে ঘিরে ফেলে। এ সময় স্কিম মালিক ছৈয়দ নুর ও স্থানীয় কৃষকরা ওই কান্ডের প্রতিবাদ জানায়। এক পর্যায়ে ওই মহিলার ভাড়াটে বহিরাগত লোকজন দা, কিরিচ ও লাঠি নিয়ে স্থানীয়দের দিকে ধেয়ে আসে। এ সময় ভীতি ও আতংক ছড়িয়ে ড্রেনটির প্রায় ৩শ ফুট অংশ জবর দখলে নেয়। স্থানীয় আবদু রহমান, জাহাঙ্গীর, শাহআলম, আবদু শুক্কুর, রমিজ আহমদ, আবদু ছবুর, সেলিম, মোক্তার, আবদুল হক, মোজাহের আহমদ, আবু তাহের, জিয়াবুল ও শফি আলমসহ আরো অনেকে জানান, এ ড্রেন দিয়ে পানির যোগান দেয়া হয়। রবি মৌসুমে প্রায় ১শ একর জমির ফসল উৎপাদনের একমাত্র মাধ্যম। এটি দখলে গেলে দক্ষিণপাড়ার বিলে শুষ্ক মৌসুমে বুরো ফসল উৎপাদন থেমে যাবে। পাশাপাশি ড্রেনের পাশর্^বর্তী অংশটি আমরা যাতাযাতের রাস্তা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ড্রেন ও রাস্তাটি দক্ষিণপাড়ার প্রায় ৩০/৪০ টি পরিবারের যাতায়াতের একমাত্র পথ। কাঁটাতারের ঘেরা দিয়ে রাস্তাটি আটকিয়ে দিলে এ সব পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে যাবে। দক্ষিণপাড়ায় একটি নুরানী মাদ্রাসা রয়েছে। ওই প্রতিষ্টানের যাতায়াত মাধ্যম হচ্ছেও ড্রেন অবশিষ্ট গ্রামীণ রাস্তাটি। আমরা প্রশাসনকে আহবান করব ড্রেনটি যাতে করে জবর দখল মুক্তকরন করা হয়। স্কিম মালিক ছৈয়দ নুর জানান, দক্ষিণপাড়ার বিলে এক সময় রবি চাষ হতোনা। ৪ বছর আগে ড্রেনটি নির্মাণ করে জমিতে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করেছিলাম। সেই সময় থেকে এ বিলের জমিগুলি তিন ফসলী জমি হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। এখন ড্রেনটি আটকিয়ে দিলে বিশাল জনগোষ্টীর খাদ্য সম্ভারে মারাত্মক আঘাত করা হবে।