এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া :

চকরিয়া পৌরসভাসহ ৮ ইউনিয়নে জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। জেলায় আগত রোহিঙ্গা ঢলের পর বন্ধ করে দেওয়া কক্সবাজারে জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম দীর্ঘ প্রায় তিনবছর পর অবশেষে খুলে দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, চকরিয়া পৌরসভাসহ উপজেলা ১৮টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্য থেকে প্রাথমিকভাবে মাত্র ৮টি ইউনিয়ন পরিষদে এই নিবন্ধন কার্যক্রম বর্তমানে চালু হয়েছে। এর আগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ শিগগিরই জেলাবাসীর কাঙ্ক্ষিত জন্ম নিবন্ধন খুলে দেওয়ার কথা জানান।

চকরিয়া পৌরসভা ছাড়া উপজেলার অন্য যে ইউনিয়নগুলোতে জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম চালু হয়েছে, সেগুলো হলো- ভেওলা মানিকচর, পশ্চিম বড় ভেওলা, ঢেমুশিয়া, বদরখালী, হারবাং, পূর্ব বড় ভেওলা, লক্ষ্যারচর ও চিরিংগা ইউনিয়ন।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ শামসুল তাবরীজ জানান, নতুন জন্মনিবন্ধন পেতে হলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কিছু শর্ত অবশ্যই মানতে হবে আবেদনকারিকে।

তিনি জানান, আবেদন পত্রের সাথে বিদ্যুৎ বিলের কপি, হোল্ডিং টেক্স আদায়ের কপি, আবেদনকারীর পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি। যাদের পিতা-মাতা মৃত তাদের মৃত্যু সনদ। ২০০০ সালের আগে যারা জন্মগ্রহন করেছে তাদের পিতা-মাতার জন্ম সনদের প্রয়োজন নেই যদি আইডি কার্ডের ফটোকপি আবেদনপত্রে সংযুক্ত করা হয়। আবেদনকারী যদি ২০০০ সালের পরে জন্মগ্রহন করে তাহলে পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। যে সকল আবেদনকারির শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ নেই, টিকার কার্ড নেই, বয়স প্রমাণের জন্য সরকারি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অথবা সিভিল সার্জন অফিস কর্তৃক প্রদেয় বয়স প্রমানের প্রত্যয়ন পত্র দিয়ে অবশ্যই আবেদনে প্রমাণ করতে হবে।

নীতিমালা অনুযায়ী উপরোক্ত কাগজপত্রসহ সেবা প্রার্থীকে অবশ্যই সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভার মেয়র বা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবরে আবেদন করতে হবে। উক্ত আবেদন পরিষদ থেকে উপজেলা জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন যাছাই বাচাই কমিটির বরাবরে উপস্থাপন করার পর কমিটি গুরুত্ব সহকারে যাছাই করে সঠিক হলে পুণরায় অনুমোদন দিয়ে পরিষদে পাঠাবে। পরিষদ তা আবেদনকারীকে চেয়ারম্যান এবং পরিষদের স্বাক্ষরে সনদ প্রদান করবে। এদিকে প্রতিটি উপজেলায় শক্তিশালী বাছাই কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা সবদিক যাচাই-বাছাই পূর্বক চূড়ান্ত করে জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান করবেন।

যদি কোন চেয়ারম্যান বা পরিষদের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয় বা ইস্যুর পর যদি প্রমাণিত হয় তা ফৌজদারি অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হবে। উক্ত জন প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে জেল জরিমানা এমনকি কঠিন শাস্তির আওতায় আনা হবে। পর্যায়ক্রমে সকল ইউপি খুলে দেওয়া হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।