বিডি জার্নাল : হিজযুত তাহরীরের মত অবিলম্বে উগ্র মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সংগঠন ‘হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ”কে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন দাবিদার বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ।

বক্তারা বলেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ তাদের মতাদর্শের ভিত্তিতেই একটা চরম সাম্প্রদায়িক সংগঠন। তারা মুসলমান সম্প্রদায়কে তাদের সাথে রাখেনি। মুসলমানদের থেকে দূরে থেকে দেশের ৯৮ ভাগ অধিবাসী মুসলমান ও দেশের সরকারের বিরুদ্ধে তারা উস্কানিমূলক বক্তব্য ও সাম্প্রদায়িক বিষ বাষ্প ছড়াচ্ছে। তারা তাদের প্রতিমা ভাঙচুর, হিন্দুদের হত্যা, ধর্ষণ, গণধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, মন্দির দখল, জোর করে মুসলমান বানানো ইত্যাদি সম্পর্কে সম্পূর্ণ মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাদের এজেন্টরা অপপ্রচার সারা বিশ্বে ছড়াচ্ছে। হিন্দুদের জামাই আদরে রাখছে সরকার, কিন্তু তারা সরকারের ভাব মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করছে। কাজেই হিজযুত তাহরীরের মত অবিলম্বে উগ্র মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সংগঠন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

৬ দফা দাবি নিয়ে মানববন্ধনটির আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগসহ সমমনা ১৩ দল।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ৬ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, বর্তমান সরকার সময়ে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ, নারীদের শ্লীলতাহানি, মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ৭১ এর বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননা করার শামিল।

তারা বলেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ এ বক্তব্য দ্বারা ৭১ এর মহান যুদ্ধে পাকিস্তানিদের বর্বরতাকে ছোটো করে দেখিয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করে মুক্তিযুদ্ধের অবমাননা করেছে। বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারকে হানাদার পাকিস্তানিদের চেয়ে নিকৃষ্ট করে প্রচার করে সারাবিশ্বে এদেশের জনগণ ও সরকারের ভাব মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছে। কাজেই অবিলম্বে উগ্র মৌলবাদী সংগঠন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে মহান মুক্তিযুদ্ধের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার আওতায় এনে বিচার করতে হবে।

বক্তারা বলেন, পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনেই সব ধরণের কঠিন রোগ, বালা-মুসিবত, দুর্যোগ কেটে যাবে। কাজেই বর্তমান স্বাস্থ্য সংকট, অর্থসংকটসহ সব সংকট থেকে মুক্তি দিতে সরকারকে সর্বোচ্চ পৃষ্ঠপোষকতায় সারা বছর তথা অনন্তকাল পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতে হবে। জামাত ও ধর্ম ব্যবসায়ীরা পবিত্র হাদীস শরীফ উনার অপব্যাখ্যা করে করোনাকেও ছোঁয়াছে রোগ ও মহামারি প্রচার করে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি জটিল করে তাদের ধর্মব্যবসাভিত্তিক রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়।করোনাকে যারা ছোঁয়াছে ও মহামারী বলে তাদের প্রতি ওলামা লীগের কোটি টাকার প্রকাশ্য বাহাসের চ্যালেঞ্জ।

বক্তারা আরো বলেন, করোনা ভাইরাস দেয়ার এবং তা থেকে রক্ষার মালিক মহান আল্লাহ পাক তিনি। সম্মানিত মসজিদে গেলে মাস্ক পরতে হবে- এ প্রচারণার অর্থ সম্মানিত মসজিদে গেলে করোনা হয়। অথচ সম্মানিত মসজিদ মহান আল্লাহ পাক উনার ঘর তথা রহমতের ঘর। কাজেই সম্মানিত মসজিদের সম্মান রক্ষার্থে মসজিদে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা যাবে না।

সমাবেশ ও মানববন্ধনে সমন্বয় করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী মাওলামা লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী। আরো বক্তব্য দেন- সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি- আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী, দপ্তর সম্পাদক ওলামা লীগ প্রমুখ।