আবুল কালাম, চট্টগ্রাম:
বন্দর নগরী চট্টগ্রামের ১১ নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ড জেলেপাড়া রাস্তাটি খানাখন্দে বেহাল অবস্থা।পথচারী ও যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তাটি দক্ষিণ কাট্টলী এলাকার একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এখানে ছোট-বড় অনেকগুলো শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে। ইলিশ ঘাট ও বিনোদনের জন্য সাগর পাড়, এসব প্রতিষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষ চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক রাসমণি ঘাট সাগর পাড়ে বিনোদনের জন্য যায়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন কাজের জন্য আশপাশের সড়ক গুলি খোড়াখুড়ির কারণে চলাচলের একমাত্র এই রাস্তাটি।তাই প্রতিনিয়ত পথচারীদের অসহনীয় যন্ত্রণা ভোগাতে হয়।
রাস্তাটি চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়াম হতে শুরু হয় পর্যটন স্পট রাসমণি ঘাট ও নগরীর ফইল্লাতলী বাজারে গিয়ে শেষ হয় ।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র।
এ সময় পথচারী বিপ্লব চৌধুরি (বিজয়) এই প্রতিবেদককে বলেন, আমি মূলত একজন ফার্মেসি ব্যবসায়ী। আমার কাছে বিভিন্ন মহল্লা থেকে অনেক রোগীরা আসেন এখন রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি খানাখন্দের কারণে। রোগীরা আসতে পারতেছে না। অনেক সময় আমাদেরও জরুরি চিকিৎসাসেবা দিতে। যাওয়ার পথে অসহনীয় ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
আরেক পথচারী ননীবালা দাস বলেন,আমরা এলাকাবাসীরা অসহনীয় যন্ত্রণায় আছি। কেন জানিনা আমাদের এই রাস্তাটি খানাখন্দ তো আছেই এরপরেও কোন উন্নয়নের ছোঁয়া রাস্তায় পড়ে নি খানাখন্দে রাস্তাটি খালর সাথে বিলীন হয়ে যাওয়াতে আমাদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। এখন শুকনো মৌসুমেই খালের পানিতে রাস্তায় একাকার হয়ে যায়।
একজন কলেজছাত্র আশীষ কুমার নাথ বলেন, আমাদের স্কুল কলেজ ও ভার্সিটি তে যেতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। আমরা সময়মতো আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পৌঁছাতে পারতেছিনা। খুব শিগগিরই এ রাস্তা সংস্কার হওয়া উচিত।
একজন পর্যটক আলী আকবর জানান। তিনি ফ্যামিলি নিয়ে আসেন বিনোদনের জন্য অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র রাসমণি ঘাট এবং বহুল পরিচিত ইলিশ ঘাট ঘুরে দেখার জন্য, এসে এখন সে বিপদে পড়ে গেছে রাস্তাঘাটের যে অবস্থা। এই অসহনীয় দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য। বর্তমান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক সহ সমগ্র সেবাদান প্রতিষ্ঠানর কাছে তাদের ও সমগ্র এলাকাসির একমাত্র দাবী। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করে। এলাকার মানুষদের অসহনীয় যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেওয়ার দাবী তাদের।