সিবিএন ডেস্ক:
হেফাজতে ইসলামের নতুন কমিটির মনোনীত ১২০ জনের মধ্যে অধিকাংশ নেতাই বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন বিশ দলীয় জোটের শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম (কাসেমী) ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দায়িত্বশীল। রবিবার (১৫ নভেম্বর) চট্টগ্রামের হাটহাজারি মাদ্রাসায় গঠিত মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীর নেতৃত্বাধীন হেফাজতের নতুন কমিটিতে জমিয়তের ৩৪ জন নেতা আর বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও বিএনপি-জোটের শরিক খেলাফত মজলিসের মিলিয়ে অন্তত বিশ-বাইশজন নেতা জায়গা পেয়েছেন। নতুন কমিটিতে ‘রাবেতাতুল ওয়ায়েজিন’ নামে বক্তাদের একটি সংগঠনের নেতাদেরও উপস্থিতি রয়েছে ব্যাপকহারে।

এদিকে, হেফাজতে ইসলামের বাবুনগরী নেতৃত্বাধীন কমিটির বিপরীতে সংগঠনটির আরও একটি কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে আল্লামা আহমদ শফীর অনুসারীরা। কয়েকদিনের মধ্যেই নতুন কমিটির প্রক্রিয়াটি প্রকাশ্যে আসবে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, রবিবার ঢাকার ধোলাইপাড়ে একটি ভবনে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন শফীপন্থীরা। সন্ধ্যার ওই বৈঠক থেকে সারাদেশে শফীর অনুসারী আলেমদের সমন্বয়ে হেফাজতে ইসলামের নতুন আরেকটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে একটি ঘনিষ্ঠসূত্র।

জমিয়তের ৩৪ জন হেফাজতের কমিটিতে

বিএনপি-জোটের শরিক জমিয়তের মহাসচিব মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী হেফাজতের নতুন কমিটির মহাসচিব মনোনীত হয়েছেন।

সংগঠনের উপদেষ্টামণ্ডলীতে জায়গা পেয়েছেন মাওলানা জিয়াউদ্দীন, মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক। নায়েবে আমির পদে জমিয়তের ছয় জন নেতা জায়গা পেয়েছেন

এরা হলেন- মাওলানা আব্দুল হামিদ (মধুপুর) মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ সাদী, মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, মাওলানা আনোয়ারুল করিম ( যশোর) ও মাওলানা নুরুল ইসলাম খান (সুনামগঞ্জ)।

হেফাজতের নতুন চারজন যুগ্ম মহাসচিবের দুজন জমিয়তের-মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব ও মাওলানা নাসির উদ্দিন মুনির। সহকারী মহাসচিবের তালিকায় এসেছে জমিয়তনেতা মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী ও মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দির নাম। হেফাজতের সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন দলটির মাওলানা মাসউদুল করীম টঙ্গী, মাওলানা শামসুল ইসলাম জিলানী ও মাওলানা তাফহিমুল হক হবিগঞ্জ।

অর্থ সম্পাদক হয়েছেন মুফতি মুনির হোসাইন কাসেমী ও সহকারী অর্থ সম্পাদক মাওলানা লোকমান মাজহারী। সহকারী প্রচার সম্পাদক পদে মনোনীত হয়েছেন জমিয়তের তিননেতা। তারা হলেন, মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াকুব ওসমানী, মুফতি শরীফুল্লাহ ও মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান নারায়ণগঞ্জ। আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী। দাওয়াহ সম্পাদক হিসেবে মাওলানা নাজমুল হাসান, সহকারী আন্তর্জাতিক সম্পাদক হিসেবে মাওলানা শুয়াইব আহমদ, মাওলানা গোলাম কিবরিয়া লন্ডন, সহকারী দফতর সম্পাদক হিসেবে মাওলানা সিদ্দিকুল ইসলাম তোফায়েল মনোনীত হয়েছেন। জমিয়ত থেকে হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন, জামিল আহমদ চৌধুরী মৌলভীবাজার, বশির আহমদ মুন্সীগঞ্জ, তাফাজ্জুল হক আজিজ সুনামগঞ্জ, আলী আকবর সাভার, আবু আব্দুর রহিম নরসিংদী, আব্দুল কুদ্দুস মানিকনগর, মুহাম্মদ উল্লাহ জামি, মাওলানা হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী।

হেফাজতের দুই শীর্ষনেতা

`জমিয়তের একতরফা নিয়ন্ত্রণ, চিঠি যাবে বাবুনগরীর কাছে’

নতুন গঠিত হেফাজতের নতুন কমিটিতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একচ্ছত্র আধিপত্যের বিষয়টি তুলে ধরে সংগঠনের শীর্ষনেতৃত্বের কাছে চিঠি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন হেফাজতের শরিক একটি দলের একাধিক শীর্ষনেতা। রবিবার রাতে বাংলা ট্রিবিউনকে তারা বলেন, ‘হেফাজতে আগে ছিল লালবাগ মাদ্রাসার প্রভাব। নতুন কমিটিতে বারিধারা মাদ্রাসা ও জমিয়তের প্রভাব পড়েছে। নতুন কমিটিতে এদের কন্ট্রোল বেশি হবে, এটাই স্বাভাবিক।’

বিষয়টি সম্পর্কে ২০ দলীয় জোটের আরেকটি শরিক দলের মহাসচিব বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অনেকে মনে করছে হেফাজতের কমিটিতে দলগতভাবে অন্তর্ভুক্তি ইনসাফপূর্ণ হয়নি। তারা ক্ষুব্ধ। রবিবার (১৫ নভেম্বর) সম্মেলনেও বিষয়টি সামনে আনার চিন্তা ছিল। কিন্তু সুযোগ না থাকায় করা যায়নি। এক্ষেত্রে খুব দ্রুতই হেফাজতের শীর্ষপর্যায়ে ইনসাফ সৃষ্টির জন্য চিঠি দেওয়া হবে, সে প্রক্রিয়া চলছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহ সভাপতি ও হেফাজতের নতুন কমিটির নায়েবে আমির মাওলানা আবদুর রব ইউসূফী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের সংগঠন সারাদেশে যেভাবে বিস্মৃত, সেভাবে আমরা পাইনি। আমাদের মহানগর সেক্রেটারি, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদকের নাম আসেনি। যাই হোক, এটা নিয়ে ক্ষোভ নেই, এটা সম্মিলিত প্লাটফরম। সবাই কমবেশি পাবে, এটা হতেই পারে। আমাদের যাদের নাম এসেছে দলীয়ভিত্তিতে নেওয়া হয়নি, বিভিন্নজন বিভিন্ন এলাকার হিসেবে এসেছে।’

নতুন কমিটিতে দুই মজলিসের নেতারা

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও খেলাফত মজলিসের অন্তত ২০-২২ জন কেন্দ্রীয় নেতা হেফাজতে ইসলামের নতুন কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন। দল দু’টির একটি একক রাজনীতি করলেও খেলাফত মজলিস বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য।

হেফাজতের কমিটি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, হেফাজতের বিভিন্ন পদে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা ইসমাঈল নূরপুরী (উপদেষ্টা), সাবেক মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক (নায়েবে আমির), ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক (যুগ্ম মহাসচিব), মাওলানা খোরশেদ আলম কাসেমী ও মাওলানা জালালুদ্দিন (সহকারী মহাসচিব), যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন (সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক), মওলানা ফয়সাল আহমদ (সহ প্রচার সম্পাদক ) রয়েছেন। এ ছাড়াও দলটির বেশ কয়েকজন ভক্ত ও অনুসারী আলেম জায়গা পেয়েছেন হেফাজতের বিভিন্ন পদে।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব ও হেফাজতের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আসলে হেফাজতের কমিটি গঠিত দলীয় বিবেচনায় নিয়ে করা হয়নি। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে কমিটির সদস্য নেওয়া হয়েছে। কেউ বড় মাদ্রাসার দায়িত্বরত হিসেবে, কেউ এলাকার প্রতিনিধি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল হিসেবে। কেউ বড় আলেম, বড় মসজিদের খতিব- ইত্যাদি বিষয়গুলোকে সামনে রেখে কমিটি গঠন করা হয়েছে। দলীয় কোটা থেকে নেওয়া হয়নি। বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের সময় নেতাদের সক্রিয়তাও ভূমিকা রেখেছে কমিটি গঠনে।’

হেফাজতের নতুন কমিটিতে বিএনপি-জামায়াত জোটের শরিক খেলাফত মজলিসের ছয়জন নেতা স্থান পেয়েছেন। এদের মধ্যে উপদেষ্টামণ্ডলীতে দলের আমির মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক হয়েছেন, নায়েবে আমির পদে মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, সহকারী আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে হযরত মাওলানা আবদুল কাদের সালেহ ও আহমদ আলী কাসেমী উল্লেখযোগ্য।

জানতে চাইলে হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলাবাদী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘হেফাজতের মধ্যে জমিয়ত, মজলিস, নেজামে ইসলামসহ আরও অনেক ইসলামি দল রয়েছে। কিন্তু দলের মধ্যেও তো বড় ছোট আছে। বড় দল বড় হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। এখানে তো পদ একটি, মানুষ দশজন। ফলে, সমন্বয় করেই কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করি, ইসলামি নেতৃবৃন্দ দ্বীনি বিষয়কে সামনে রেখে নেতৃত্বের মোহ ত্যাগ করে নতুন কমিটিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।’

সরকারের সঙ্গে হেফাজতের কী শর্ত?

গত কয়েকদিন ধরেই হেফাজতের নতুন কমিটি নিয়ে আলেমদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। সংগঠনটির বিবদমান উভয়পক্ষের অভিযোগ, উভয়পক্ষেরই সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ আছে। এ নিয়ে হেফাজত ও সরকারের ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্রের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে দুটি তথ্য।

সরকারের ঘনিষ্ঠ একটি দায়িত্বশীলসূত্র জানিয়েছে, সরকারের পক্ষ থেকে হেফাজতের সদ্য আমির বাবুনগরীর কাছে তিনটি শর্ত দেওয়া হয়েছে, যেগুলো বিবেচনায় নিয়ে সংগঠন পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছে সরকারের ঘনিষ্ঠ একটি পক্ষ। এই শর্তগুলো হচ্ছে, কোনও ধরনের রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততায় থাকা যাবে না এবং রাজনৈতিক কোনও পরামর্শে কর্মসূচি দেওয়া যাবে না। দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদের সরকারি স্বীকৃতির বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে এবং সব সময় অরাজনৈতিক চরিত্র ধরে রাখতে হবে।

হেফাজতের নতুন কমিটির একজন নায়েবে আমির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শর্তের বিষয়ে তো অনেক কথা শুনেছি। তবে সর্বশেষ চট্টগ্রামে গিয়ে যেটা শুনেছি, নূর হোসাইন কাসেমীকে সরকার মহাসচিব হিসেবে দেখতে চায় না। তিনি বিএনপি-জোটের একটি দলের মহাসচিব, এজন্য।’

এ বিষয়ে হেফাজতের নায়েবে আমির ও খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অনেকে মনে করেছিল আল্লামা আহমদ শফীর ইন্তেকালের পর হেফাজত থাকবে না। কিন্তু প্রমাণিত হয়েছে হেফাজত আছে, থাকবে। আমরা আমাদের নতুন কমিটি করেছি, সেটা আমাদের মতই করবো। অন্য কারও কর্তৃত্ব মানা হবে না।’

শফীপন্থীদের নেতৃত্বে নতুন কমিটি

রবিবার হাটহাজারী মাদ্রাসায় হেফাজতের প্রতিনিধি সম্মেলনে আমন্ত্রণ না পাওয়া আল্লামা শফীপন্থী হেফাজতনেতারা এদিন সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত অবধি বৈঠক করেছেন। ঢাকার ধোলাইখালে একটি ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে মুফতি ওয়াক্কাছ, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মুফতি মঈনুদ্দিন রুহি, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা আলতাফ হোসাইন ছিলেন।

ওই বৈঠকে প্রবেশের আগে হেফাজতের আগের কমিটির নায়েবে আমির ও ঢাকা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম একাংশের আমির মুফতি ওয়াক্কাছ বলেন, ‘মনে হয় এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হেফাজতে ইসলামের ব্যাপকতা, সর্বজনীন ইমেজ ক্ষুণ্ণ করতে বিশেষ মহলের ইঙ্গিতে নেওয়া একটি পদক্ষেপ। কারও ইশারায় এগুলো করা হয়েছে।’

রবিবার রাত ১১টার দিকে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য বলছে, শফীপন্থী হেফাজতনেতারা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে হেফাজতের নতুন কমিটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এর আগে, তারা আহমদ শফীর অনুসারী আলেমদের কীভাবে নতুন প্রক্রিয়ায় যুক্ত করবেন, তা নিয়ে পর্যালোচনা করছেন।

এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত এক শীর্ষনেতা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরাই হেফাজতের মূলধারা। হেফাজতের মূলধারার কমিটির জন্য প্রস্তুতি চলছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রবিবার রাতে ইসলামী ঐক্যজোটের নেতা মাওলানা আলতাফ হোসাইন বলেন, ‘আমরা আরও দুচারদিন সময় নেব। এরমধ্যে করণীয় ঠিক করবো। করণীয় নিয়েই বৈঠক চলছে। এই কমিটি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। বৈধ কমিটি সময়ের ব্যাপার। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েই আলোচনা চলছে।’

হেফাজতের আরও একটি কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে নতুন গঠিত হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ। গণতান্ত্রিক অধিকার সবার আছে। কথা বলার অধিকার আছে। প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে চাইলে করতে পারে।’

আজিজুল হক ইসলামাবাদী জানান, ‘হেফাজতের নতুন কমিটির মূল কাজ হবে সারাদেশের আলেমদেরকে ঐক্যবদ্ধ রাখা ও সংগঠনকে গোছানো।’

উল্লেখ্য, রবিবার প্রতিনিধি সম্মেলনে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটির ১২০ জন সদস্য মনোনীত হয়েছেন। অবশিষ্ট ৩১ জন সদস্য পরবর্তীতে যুক্ত করবে হেফাজতের নতুন কমিটি।