সিবিএন ডেস্ক:

আগামী রবিবার (১৫ নভেম্বর) চট্টগ্রামের হাটহাজারী দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসায় বসছে হেফাজতে ইসলামের প্রতিনিধি সম্মেলন, সেখানেই নির্ধারণ হবে সংগঠনটির নতুন নেতৃত্ব। চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুতে কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের এই সংগঠনটির শীর্ষপদ শূন্য হয়। আসন্ন এই কাউন্সিলে হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্ব নির্ধারণকে কেন্দ্র ইতোমধ্যে অস্থির হয়ে উঠেছে কওমি অঙ্গন। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে আলেমদের মধ্যেও তৈরি হয়েছে নানা অস্বস্তি। একটি পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে এই সম্মেলন না মানার ঘোষণা এসেছে, আরেকটি পক্ষ নীরবে নজর রাখছে পরিস্থিতির ওপর। এরইমধ্যে আহমদ শফীর স্বাক্ষরিত হেফাজতের নতুন একটি কমিটির কাগজপত্র ছড়িয়ে পড়েছে আলেমদের মাঝে। সর্বশেষ শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) চট্টগ্রামে রবিবারের সম্মেলনের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে এবং লিফলেট প্রচারণাও চালিয়েছে আলেমদের একটি পক্ষ।

হেফাজতে ইসলামের ঢাকা ও চট্টগ্রামের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের এই সংগঠনটি এখন অনেকটাই ভাঙনের মুখে পড়েছে। রবিবার যে সম্মেলন ডাকা হয়েছে, ওই সম্মেলনে আমন্ত্রণ পাননি হেফাজতের তিনটি অংশের নেতারা। এই তিনটি অংশ হলো— জমিয়ত (মুফতি ওয়াক্কাছ অংশ), ইসলামী ঐক্যজোট ও আল্লামা শফীর ছেলে আনাস মাদানী গ্রুপ। এছাড়া, আমন্ত্রণ না পাওয়াদের মধ্যে মধুপুরের পীরও রয়েছেন।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের (মুফতি ওয়াক্কাস-নায়েবে আমির হেফাজত) সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি রেজাউল করিম শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, তারা কোনও আমন্ত্রণ পাননি।

ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ, মুফতি মঈনুদ্দিন রুহিও আমন্ত্রণ পাননি। তারা দুজনেই হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্বে রয়েছেন।

আহমদ শফীর পক্ষাবলম্বনকারী নেতারা জানিয়েছেন, রবিবার হেফাজতের সম্মেলনের সিদ্ধান্ত দেখেই তারা পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবেন।

শুক্রবার বিকালে হেফাজতের প্রচার সম্পাদক মাওলানা আনাস মাদানী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সম্মেলনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমি আমন্ত্রণ পাইনি। এগুলোকে তারা গুনতেছে না। এককালে আমাদের প্রয়োজন ছিল। হেফাজতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার সময় এমন অবস্থা ছিল, যে তাদের ডাকে কেউ সাড়া দিতো না। ওলামা সম্মেলন বলেন বা তারপর কমিটিগুলো করতে আলেমদের দাওয়াতের বিষয় আসলে তখন আমাদের প্রয়োজন ছিল। তাদের কোনও পরিচয় ছিল না, তাদের ডাকে কেউ সাড়া দিতো না।’

আনাস মাদানীর অভিযোগ— ‘হেফাজতকে ভাঙনের উদ্দেশ্যেই তাদের আমন্ত্রণ না দেওয়া হতে পারে। সংগঠন অক্ষুণ্ণ রাখার উদ্দেশ্য থাকলে তাদের উদারতা দেখানোর দরকার ছিল।’

হেফাজতের নেতৃত্বে বাবুনগরী-কাসেমী?

হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে যুক্ত কওমি মাদ্রাসার আলেম ও বিভিন্ন ইসলামি সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হেফাজতের আসন্ন নতুন সাংগঠনিক কাঠামো নির্ধারণে মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের (কাসেমী) মহাসচিব মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতারা ভূমিকা রাখছেন। এক্ষেত্রে এই তিন অংশের নেতাদের সঙ্গে সরকারের একটি পক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে নিয়মিত, এমন দাবি করেছেন একাধিক আলেম। সম্ভাব্য নতুন কমিটিতে আমির হিসেবে জুনায়েদ বাবুনগরী, সিনিয়র নায়েবে আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বা চট্টগ্রাম হেফাজতের আমির মাওলানা তাজুল ইসলাম থাকতে পারেন। এছাড়া যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মামুনুল হকের নাম থাকতে পারে বলে জানান হেফাজতের একাধিক নেতা। তাদের দাবি, মূল কমিটি অনেকটাই প্রস্তুত হয়ে গেছে। এ নিয়ে হাটহাজারী মাদ্রাসায় বাবুনগরীর বিরুদ্ধে চার পৃষ্ঠার লিফলেট ও মামুনুল হকের বিরুদ্ধে লিফলেট বিতরণ হয়েছে শুক্রবার।

বাবুনগরীকে নিয়ে লিফলেটের প্রথম পৃষ্ঠা

হেফাজতের একটি অংশের নেতারা জানান, হাটহাজারী মাদ্রাসায় নিজের প্রভাব অটুট রাখায় হেফাজতের আমির পদটিতে মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীকে দেখা যাবে। মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে তার অনুসারী বেশি হওয়ায় সম্মেলনেও বিষয়টি প্রভাব ফেলবে, এমন ধারণা করছেন কোনও কোনও আলেম। এছাড়া কওমি মাদ্রাসায় ‘মানহাজি’ নামে নতুন একটি কট্টরপন্থীগোষ্ঠী বাবুনগরীকে কেন্দ্র করে সংগঠিত হচ্ছে, যাদের প্রভাব প্রথম প্রকাশ্যে আসে গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাটহাজারী মাদ্রাসায় বিক্ষোভে। ওই বিক্ষোভে হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মঈনুদ্দিন রুহিকে পিটিয়ে শরীরে জুতো প্রদর্শনের ঘটনায় এই ‘মানহাজি’ কট্টরপন্থীদের ভূমিকা ছিল বলে জানান কয়েকজন আলেম। ওই ঘটনার পর বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে মুফতি ওয়াক্কাছকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি পর্যালোচনা কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে ওই কমিটি কোনও কার্যক্রম পরিচালনা করেনি।

হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মঈনুদ্দিন রুহিকে পিটিয়ে আহত করা হয়

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পর্যালোচনা কমিটির সদস্য বেফাকের দায়িত্বশীল মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন রাজু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আল্লামা আহমদ শফী যেহেতু বেফাকের সভাপতি ছিলেন, সে কারণে তার মাদ্রাসায় ছাত্রদের বিক্ষোভের বিষয়ে বেফাকের পক্ষ থেকে একটি পর্যালোচনা কমিটি করা হয়েছিল মুফতি ওয়াক্কাছ সাহেবের নেতৃত্বে। এই কমিটিতে মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জিও আছেন। এখন পর্যন্ত আহ্বায়কের পক্ষ থেকে কোনও বৈঠক ডাকা হয়নি।’

কমিটির আরেকটি সূত্রের দাবি, হাটহাজারী মাদ্রাসার বিক্ষোভের ঘটনাটি রহস্যজনক। এক্ষেত্রে অনেক লোকজন আছেন— যারা মনে করে তদন্ত হলে সমস্যা। তাই হয়তো এটা নিয়ে উচ্চবাচ্য নেই।

জানতে চাইলে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা আবদুর রব ইউসূফী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘একটি শ্রেণি তো জনগণের কাছে ধিকৃত আছে। ধিকৃত লোকেরা তো নানা কথা বলতেই পারে। মাওলানা বাবুনগরী শাপলা চত্বরের পর জেলে যাওয়া, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে চিকিৎসার অফার আসা, পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেওয়া, পরবর্তী সময়ে হাটহাজারী মাদ্রাসার সমস্যার ক্ষেত্রে তিনি তার নীতিতে অটল ছিলেন। নতজানু হননি। কাজেই তাকে ব্যবহার করার বাস্তবতা নেই। সিদ্ধান্ত দেওয়ার মতো ও নেওয়ার মতো যোগ্যতা তার আছে। হাটহাজারীতে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, তাতে তার সংযোগ ছিল বলে আমি মনে করি না।’ তিনি বলেন, ‘একটা জিনিস তো বুঝতে হবে, হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্রশিক্ষক, স্টাফ তার প্রতি অনুগত। ফলে তার বিষয়ে অবমূল্যায়ন না করাই উচিত।’

হেফাজতের ঢাকা কমিটিকে কেন্দ্র করে শীর্ষ আলেমদের মধ্যে অস্থিরতা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবকে আমির ও মাওলানা মামুনুল হককে মহাসচিব করার বিষয়টি অনেকটাই চূড়ান্ত হলেও নতুন করে মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জি আমির হতে চাইছেন বলে দাবি করেছে হেফাজতের দায়িত্বশীল সূত্র। এ কারণে মাওলানা আতাউল্লাহ সম্প্রতি মাওলানা বাবুনগরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন বলে জানা গেছে।

হেফাজতের ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র জানায়, নতুন কমিটিতে যুগ্ম মহাসচিব, সহকারী মহাসচিব পদে কয়েকজন ইসলামি বক্তাকে দেখা যেতে পারে।

মৃত্যুর আগে হেফাজতের কমিটি করেছিলেন আল্লামা শফী?

মারা যাওয়ার আগে গত ১৩ আগস্ট আহমদ শফীকে আমির, মাওলানা দিদার কাসেমীকে সিনিয়র নায়েবে আমির ও জুনায়েদ বাবুনগরীকে মহাসচিব পদে রেখে হেফাজতের নতুন কমিটি করেন আহমদ শফী। তার স্বাক্ষরিত ছয় পৃষ্ঠার ওই কমিটির কাগজপত্র তার কক্ষেই পাওয়া যায় বলে দাবি করেছেন তার অনুসারী এক যুগ্ম মহাসচিব।

হেফাজতের সম্মেলনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে মিছিল-লিফলেট

রবিবার হেফাজতে ইসলামের আসন্ন প্রতিনিধি সম্মেলনের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন কয়েকজন ছাত্র-শিক্ষক। স্থানীয় একজন সাংবাদিক বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের পর চট্টগ্রাম জামালখান এলাকায় ইসলামী ঐক্যজোটের ছাত্র সংগঠন ছাত্র খেলাফত হেফাজতের কাউন্সিলের বিরুদ্ধে ঝটিকা মিছিল করেছে। ছাত্র খেলাফতের সভাপতি, সেক্রেটারি, সাংগঠনিক সম্পাদক, প্রচার সম্পাদক মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। মিছিলে ‘প্রহসনের কাউন্সিল মানি না। দালালমুক্ত হেফাজত চাই’ বলে স্লোগান দেওয়া হয়।

হাটহাজারী মাদ্রাসার একাধিক ছাত্র-শিক্ষক জানান, বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) ও শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) হেফাজতের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জুনায়েদ বাবুনগরী, মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে লিফলেট প্রচার করেছেন হেফাজতের একটি অংশের নেতাকর্মীরা। কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও হাটহাজারী মাদ্রাসার শুরা সদস্যদের উদ্দেশে লেখা চার পৃষ্ঠার লিফলেটে বাবুনগরীর বিরুদ্ধে নানা রকম বক্তব্য দেওয়া হয়েছে।

রবিবারের সম্মেলন দেখে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে শফীপন্থীরা

হেফাজতের প্রয়াত আমির আল্লামা আহমদ শফীর অনুসারীরা বলছেন, রবিবার বাবুনগরী-নির্ভর সম্মেলনের পরিস্থিতি দেখেই পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন তারা। এক্ষেত্রে তারা এখনও প্রত্যাশা করছেন, সম্মেলনে আমন্ত্রণ শেষ পর্যন্ত তারা পাবেন। যদিও কোনও কোনও নেতা পরিষ্কার করেই জানিয়েছেন— রবিবারের সম্মেলনে অংশগ্রহণের কোনও সুযোগ আর নেই। আল্লামা শফীপন্থীদের বিরুদ্ধে যেভাবে পরিকল্পিতভাবে কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে, তাতে উভয়পক্ষের এক হওয়ার সম্ভাবনা কম।

শুক্রবার বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপকালে আহমদ শফীর ছেলে ও হেফাজত নেতা মাওলানা আনাস মাদানী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম আমিরনির্ভর আধ্যাত্মিক সংগঠন। এটাই সংগঠনের সৌন্দর্য। এখন আমির পদে কেউ নেই, সিনিয়র নায়েবে আমির পদে কেউ নেই, তাহলে কীভাবে মহাসচিব সম্মেলন আহ্বান করেন? তারা যাদের মাইনাস করবেন, মাইনাস তারা করে ফেলুক। এরপর চিন্তা করবো। আমরা আগে মজলুম আছি, মজলুম থেকেই কোনও কিছু করতে পারি কিনা। জালেম বনতে (হতে) চাই না।’

নেজামে ইসলামী পার্টির বাংলাদেশের নির্বাহী সভাপতি মাওলানা একেএম আশরাফুল হক বলেন, ‘দেশের ইসলামি অঙ্গনের সবার সমন্বিত হওয়ার কারণেই হেফাজতে ইসলাম দেশের বৃহত্তম অরাজনৈতিক দ্বীনী সংগঠনে রূপ লাভ করতে সক্ষম হয়েছিল। এখনও যদি আগামী ১৫ তারিখের কাউন্সিলে দল ও মতের সমন্বয় না করা হয়, তাহলে সেটা খণ্ডিত হেফাজত হবে। সরকারের উচ্চ মহলের এবং আন্তর্জাতিক ইসলাম ও মুসলিমবিরোধী সংস্থার সঙ্গে যোগসাজশে ও তাদের সমর্থনে চিহ্নিত একটি গ্রুপ হেফাজতকে ধ্বংস করার জন্য সংগঠনটিকে ব্যাপক করার পরিবর্তে সংকুচিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

জানতে চাইলে হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এখনও সময় আছে। সবাইকেই দাওয়াত দেওয়া হবে। দাওয়াত শুরু হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে। আস্তে আস্তে সবাই দাওয়াত পাবেন। প্রতিনিধি সম্মেলনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় সাড়ে তিনশ’ প্রতিনিধি আশা করা হচ্ছে উপস্থিত থাকবেন।’

এক প্রশ্নের জবাবে মাওলানা আজিজুল হক বলেন, ‘কিছুদিন আগেই হেফাজতের দুইটি কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সবাই ঐক্যবদ্ধ আছেন। যারা বিভক্তির কথা বলছেন, তারা নিশ্চয়ই এটা বুঝবেন।’