নিজস্ব প্রতিবেদক:

চার দিনে গড়ালো মহেশখালী পেকুয়া মগনামা-বাশঁখালী রুটে শ্রমিক নেতাদের ডাকা অঘোষিত ধর্মঘট ফলে চট্টগ্রাম শহরগামী হাজারো মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। কুতুবদিয়া থেকে চট্টগ্রাম শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া যাত্রী আব্দু রহিম বলেন, কোনপ্রকার পূর্ব ঘোষনা ছাড়া সান লাইন বাস বন্ধ করে দেয়াতে আমরা বেশ সমস্যায় পড়েছি। এই ছাড়াও মহেশখালীর চালিয়াতলি এলাকার আবুল কাশেম বলেন, সান লাইনের সময় নিয়ে আমরা কাউন্টারে এসে দেখি গাড়ি চলে না আমি শহরে ডাক্তারের সিরিয়াল দিয়েছি অঘোষিত ধর্মঘটের কারনে তিনি চিকিৎসকের সিরিয়াল হারিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। অভিযোগ ওঠেছে শ্রমিক নেতারা সাধারণ শ্রমিকদের কথায় নয় শুধু নেতাদের ব্যাক্তিগত কারনে সান লাইন বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে। শ্রমিকেরা বাস চালাতে চাইলেও নেতারা চালাতে দিচ্ছেন না। জানা যায়, গত সোমবার ৯ নভেম্বর সকাল থেকে আজ চার দিন পর্যন্ত মহেশখালী, পেকুয়া বদরখালী বাশঁখালী থেকে চট্টগ্রামগামী প্রায় ৩১টি সান লাইন বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে চালকদের যাত্রী বিহীন ফিরিয়ে দেন এবং কিছু বাস থেকে যাত্রী নামিয়ে দেন শ্রমিক নেতাদের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাং। ফিরিয়ে দেয়া সান লাইন বাসের চালক মোহাম্মদ মানিক জানান, গত ৯ তারিখ সকালে চালিয়াতলি থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য গাড়ি রওনা দিলে বদরখালীর শ্রমিক নেতারা আমাদের বাধাঁ দেয় এবং তারা গাড়ি খালী নিয়ে যেতে বলেন। এসময় সান লাইনের চালক দিদার, বাবু, মনুুসহ আরো বেশ কয়েকজন ড্রাইভার যাত্রী বিহীন গাড়ি নিয়ে চলে যান তারা এখানো গাড়ি আর বের করেননি বলে জানান।

এ বিষয়ে সান লাইনের জিএম আলা উদ্দিন বলেন, শ্রমিকদের সাথে আমাদের যদি নুন্যতমও সমস্যা হয় তাহলে সেটা নিয়ে আমরা উভয় পক্ষ বসে একটা সিদান্ত নিবো কিন্ত কোন কারন ছাড়া কোন সমস্যা ছাড়া আমাদের এতগুলো গাড়ি যাত্রী বিহীন ফিরিয়ে দেয়া চালকদের সাথে অসোজন্যমুলক আচরণ আর গাড়ি থেকে সম্মানিত যাত্রীদের নামিয়ে দেয়া কোন ধরনের আইনে পড়ে আমি জানিনা। কোন সমস্যা ছাড়া আরকান শ্রমিক পরিবহনের সভাপতি জহির, বদরখালীর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রেজাউল করিমও শ্রমিক নেতা জাফর মিলে তাদের নেতেৃত্বে ৩১টি সান লাইন বাস গাড়ি বন্ধ করে দেয়া এটা কোন ধরনের শ্রমিক নেতাদের কাজ আমার বুজে আসেনা। গাড়ি বন্ধ করে শ্রমিকদের পেঠে লাথি মারলেন তারা। তিনি এঘটনার নিন্দা জানান।

এদিকে বহরদ্দারহাট টার্মিনাল হইতে পেকুয়া মগনামা মহেশখালী গামী সান লাইন বাস চলাচলে বাধাঁ যাত্রীদের নামিয়ে দেয়া সহ চাদাঁ দাবির অভিযোগ এনে আরকান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুছা সহ সাধারণ সম্পাদক কামাল আজাদও বদরখালী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে সান লাইন পরিবহনের জিএম আলা উদ্দিন কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার বরারবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগে আলাউদ্দিন এই চার নেতার বিরুদ্ধে কিশোর গ্যাং সৃষ্টি করে সান লাইন পরিবহন চলাচলে বাধা প্রধান যাত্রীদের নামিয়ে দেয়া চালকদের মারধর, হত্যার হুমকিসহ নানান অভিযোগ আনেন। অভিযোগটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চকরিয়া সার্কেলকে তদন্তভার দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা শ্রমিক অসন্তোসের কথা জানান। স্থানীয়দের দাবি উভয় পক্ষ বসে দ্রুত সমস্যার সমাধান করে সান লাইন বাস চলাচল স্বাভাবিক করা হোক।