সিবিএন ডেস্ক:
ঢাকা-১৮ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, ‘নিকুঞ্জ, খিলক্ষেত ও উত্তরার ১৪টি কেন্দ্রের ৭০টি বুথ পরিদর্শন করেছি। নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আমার ধারণা হয়েছে, একাদশ সংসদ নির্বাচনের চেয়ে এই নির্বাচন আরও নিচে নেমে গেছে । নির্বাচন মোটেই অংশগ্রহণমূলক হয়নি।’

বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে কমিশনে নিজ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আজ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আমি বিরোধী দলের কোনো পোলিং এজেন্টকে কেন্দ্রে দেখিনি। কেবল কুর্মিটোলা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খিলক্ষেতের ভোটকেন্দ্রে একটি বুথে নারী পোলিং এজেন্টের উপস্থিতি দেখতে পাই। পুরো নির্বাচনী এলাকায় একটি দলের পোস্টার, প্ল্যাকার্ড ও বিলবোর্ড দেখা গেছে। যা আচরণবিধি অনুযায়ী নির্বাচনের পূর্বে তুলে ফেলা উচিৎ ছিল।’

এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচনকে আমি কেবল প্রার্থীর বা দলের জয়পরাজয় বলে মনে করি না। নির্বাচন হচ্ছে- গণতন্ত্রে উত্তরণের একমাত্র অবলম্বন। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশীদারমূলক ও গ্রহণযোগ্য না হলে ক্ষমতার হস্তান্তর স্বাভাবিক হতে পারে না। নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য না হলে দেশের স্থিতিশীলতা, সামাজিক অস্থিরতা ও ব্যক্তির নৈরাশ্য বৃদ্ধি পায়। এর ফলে নৈরাশ্য থেকে নৈরাজ্য সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নৈরাজ্য প্রবণতা কোনো গণতান্ত্রিক দেশের জন্য মোটেই কাম্য নয়। আমি নির্বাচন প্রক্রিয়ার সংস্কার প্রত্যাশা করি। তা না হলে দেশ অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে অগ্রসর হতে পারে।’

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। গত ১৩ জুন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে শূন্য হয় ঢাকা-১৮ আসন।

আসনটিতে মোট ভোটার ৫ লাখ ৭৭ হাজার ১৮৮ জন। এতে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ হাবিব হাসান, বিএনপির এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, জাতীয় পার্টির নাসির উদ্দিন সরকার, গণফ্রন্টের কাজী মো. শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ওমর ফারুক ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি) মবিবুল্লাহ বাহার।