আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইউরোপের কোনো দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্যে প্রথমবারের মতো করোনায় মৃত্যু ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৫০ হাজার ৩৬৫ জন।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৫৯৫ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পরেই রয়েছে ব্রাজিল, ভারত এবং মেক্সিকো। এই তালিকায় ৫ম অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য।

প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ‘ভ্যাকসিনের আশা থাকা সত্ত্বেও আমরা সঙ্কটের বাইরে নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি মৃত্যুই এক একটি ট্রাজেডি। আমি মনে করি যে আমরা এখন এর সঙ্গে যেমন আচরণ করছি তাতে আমরা একটি ভিন্ন ধাপে পৌঁছেছি।’

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, বুধবার নতুন করে আরও ২২ হাজার ৯৫০ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত ১২ লাখের বেশি মানুষ প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে অধিকাংশই বৃদ্ধ। প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জনের বয়সই ৬৫ বছর বা তার বেশি। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে চিকিৎসা না নেওয়ার কারণেও মৃত্যু বেড়েছে।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের বর্থতা নিয়ে বেশ সমালোচনা হচ্ছে। লকডাউন জারি করতে দেরি করা এবং টেস্টিং ও ট্রেসিংয়ের আওতা না বাড়ানোর কারণে সংক্রমণ বাড়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। করোনায় একই রকম পরিস্থিতি দেখা গেছে ইতালি, স্পেন এবং ফ্রান্সেও।

তবে করোনা সংকটেও আশার কথা হচ্ছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজারের কাছ থেকে ৩০ কোটি ডোজ করোনার ভ্যাকসিন কেনার বিষয়ে একমত হয়েছে। ফাইজারের ভ্যাকসিন এখন পর্যন্ত শতকরা ৯০ ভাগ কার্যকর বলে খবর প্রকাশের পর এই ঘোষণা দিল ইইউ।

সংস্থাটির স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিশনের প্রধান স্টালা ক্রাকিডিস বলেছেন, ফাইজারের সঙ্গে এর মধ্যেই ইইউ সমঝোতায় পৌঁছেছে এবং তাদেরকে ভ্যাকসিনের অর্থ অগ্রিম পরিশোধ করা হবে। তবে প্রতি ডোজ ভ্যাকসিন কত টাকায় কেনা হচ্ছে সে তথ্য তিনি প্রকাশ করেননি।