আতিকুর রহমান মানিকঃ
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও বাজারে খাসজমি দখল করে ঝুঁকিপূর্ণ চারতলা দালান ও স্বর্ণ মার্কেট নির্মানের সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশের পর বাজারের স্বর্নপট্টিতে খাস জমি দখল করে নির্মিত মৃনাল মহাজনের অবৈধ ভবন ও তৎসংলগ্ন স্হান পরিদর্শন করেছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আকতার সুইটি। ১০ নভেম্বর বিকেল ৪ টায় এ পরিদর্শনের সময় তিনি মাছ বাজার, তরকারী বাজার, স্বর্ণের গলি, মসজিদ গলি, পাইপ বাজারের বিরাজমান বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে তিনি স্থানীয়দের সাথে কথা বলেন।
এসময় ঈদগাঁও ইউনিয়ন ভূমি অফিসও পরিদর্শন করেন তিনি।
এসময় বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদের আবেদনের প্রেক্ষিতে তিনি বাজারের ড্রেনেজ সমস্যার দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন এবং পরিষদ কর্তৃক চিহ্নিত পুরাতন পাইপ বাজার এলাকায় গণ-শৌচাগার স্থাপনের স্থান পরিদর্শন করেন ।
বাজার পরিচালনা পরিষদের অফিস ভবনের পাশে সরকারী জায়গা দখল করে নির্মিত মৃণাল মহাজনের অবৈধ স্থাপনার ব্যাপারে তদন্ত রিপোর্ট প্রদানের জন্য ইউনিয়ন ভূমি অফিস কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন ইউএনও।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম, ঈদগাঁও বাজার পরিচালনা পরিষদ সভাপতি শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিন্টু, সহ-সভাপতি রায়হান আমিন, সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল হক চৌধুরী রিকো, সহ-সাধারণ সম্পাদক হাসান তারেক, অর্থ সম্পাদক নুরুল আমিন, দপ্তর সম্পাদক নাসির উদ্দিন, সদস্য জসিম উদ্দিন ও সদস্য রফিকুল ইসলাম প্রমূখ।
উল্লেখ্য, ঈদগাঁও বাজারের স্বর্ণপট্টি এলাকায় খাসজমি দখল করে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নিমান করেছেন খাসজমি দখলের শীর্ষস্থানীয় দখলদার মৃণাল কান্তি আচার্য্য।
খাসজমি দখল করার পর রাতারাতি নিজের দখলদারিত্ব পাকাপোক্ত করতে নির্মাণ করেছেন এই পাকাভবণ ও মার্কেট । একই সাথে দখল করে নিয়েছেন জনস্বার্থে ব্যবহৃত নলকূপ এবং সেপটিক ট্যাংকসহ শৌচাগার। দখলের বছর না ঘুরতেই আগের সেমিপাকা ভবণ রূপ নিয়েছে ঝূঁকিপূর্ণ ৪তলা উঁচু দালানে।
এর ফলে চরম ঝুঁকিতে রয়েছেন বৃহত্তম বাণিজ্যিক উপশহর ঈদগাঁহবাজারের ব্যবসায়ী ও জনগন। আলোচিত এ ভবনের উত্তরপার্শ্বে তরকারীবাজার, দক্ষিণে জুয়েলারী পল্লী, পূর্বে কাপড়ের গলি এবং পশ্চিমে মরিচবাজার। ঝূঁকিপূর্ণ এ ভবনটির কারণে ব্যবসায়ী’সহ সাধারণ ভোক্তাদের থাকতে হয় অজানা আতংকে, এমনটিই অভিযোগ সাধারণ ব্যবসায়ীদের।
ঈদগাঁহ ইউনিয়ন ভূমি অফিসসূত্রে জানা গেছে, ঈদগাহ মৌজার অন্তর্ভুক্ত ঈদগাঁহবাজারের সরকারী তোহাবাজারের আওতাধীন ৭৭৬৪/৭৭৪৪ নং বিএস দাগের ০.০২৭৭ একর খাসজমি অবৈধভাবে দখল করে মৃণাল কান্তি আচার্য্য নির্মাণ করেছেন ৪তলা বাসভবন।
ফেরী ফেরীভুক্ত জায়গা দখল আরো করে নির্মাণ করেছেন স্বর্ণ মার্কেট। ওই ভবণ নির্মাণে মানা হয়নি ইমারত নির্মাণ বিধিমালা। যে কারণে বাসভবণটি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত এবং জনমনে আশংকা রয়েছে মৃদুমানের ভূমিকম্প হলেই ভবনটি ধ্বসে পড়তে পারে।
এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ইতোপূর্বে তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশিত হলে সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্টি হয়।