এ কে এম ইকবাল ফারুক, চকরিয়া:
চকরিয়ায় ১৭ বছর বয়সী এক প্রতিবন্ধী (বধির) কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের গাইনাকাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটলেও পরে তা প্রকাশ পায়। এ সময় ওই কিশোরীর ঘরে মা বাবা ভাই বোন কেউ উপস্থিত ছিলনা। অভিযুক্ত রমজান আলী (৪৮) হারবাং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গাইনাকাটা গ্রামের মৃত জাকের আহমদের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার সকালে ওই কিশোরীর বাবা-মা বাড়ির অদূরে তাদের নিজ দোকানে নাস্তা তৈরী করতে যায়। একই সময় কিশোরীর দুই ভাই-বোনও মক্তবে পড়তে যায়। ফলে ঘরে একাই অবস্থান করছিলো প্রতিবন্ধী ওই কিশোরী। এদিন সকাল ৭টার দিকে বাড়ির পেছনে প্রাকৃতিক কাজ সেরে প্রতিবন্ধী কিশোরী নিজ বাড়িতে ঢুকার সময় অভিযুক্ত রমজান আলী পেছন থেকে কিশোরীর মুখ চেপে ধরে বাড়ির বাইরে এক কোনে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় অপর এক শিশু বাড়ির বাইরে খেলা করতে যাওয়ার সময় এ ধর্ষণের ঘটনাটি দেখে ফেলে তাৎক্ষনাত দোকানে গিয়ে কিশোরীর মাকে বিষয়টি জানায়। তখন মা বাড়ির দিকে দৌঁড়ে এগিয়ে আসার পর ধর্ষক রমজান আলী কৌশলে পালিয়ে যায়।

ভিকটিমের মা জানায়, ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর আমার মেয়েকে প্রথমে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসিতে) রেফার করেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি ।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইছমাইল বলেন, গত দুই বছর আগেও রমজান আলী ৮ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ করেছিল। পরে বিষয়টি দুই পক্ষের মাঝে সমঝোতার মাধ্যমে শেষ হয়।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, কিশোরী ধর্ষণ সংক্রান্ত কোন বিষয় নিয়ে এখনো পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।