সিবিএন ডেস্ক:
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বুয়েটের এমই বিভাগের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী তানভীর আহামেদ সৈকত আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে সৈকত জবানবন্দি দেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। আগামী ২৫ নভেম্বর মামলাটির পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এরআগে এদিন বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ‌্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭ ব্যাচের সাখাওয়াত হোসেন অভিকে জেরা শেষ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

এনিয়ে মামলাটিতে ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে আবরারের বাবা বরকত উল্লাহসহ ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হলো।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর একই আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।

আসামিদের মধ্যে ২২ জন কারাগারে আছেন। তাদের আদালতে হাজির করা হয়। তিনজন পলাতক রয়েছেন। আর ৮ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত বছরের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় আবরার ফাহাদকে উদ্ধার করা হয়। দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই রাতে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরার ফাহাদকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পিটিয়ে হত্যা করেন।

এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ। গত ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

আবরার বুয়েটের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন।