মুহাম্মদ জুবাইর, টেকনাফ:

টেকনাফে জমি বিরোধের জের ধরে চাচাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে অপর চাচাতো ভাই খুন হয়েছে। খুন হওয়া ব্যক্তি হচ্ছে জাফর আলমের পুত্র আবদুর রহমান (৩০)। টেকনাফ উপজেলার সাবরাং লাফার ঘোনা আবদুল মজিদের বাড়ীর পাশে ৯ নভেম্বর (সোমবার) দুপুরে এ ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, নিঃসন্তান আবদুল মজিদের জমি অপর ভাই আবদুল কুদ্দুছ মেম্বার কৌশলে রেজিষ্ট্রি দলিল মুলে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে অপরাঅপর ভাই ও ভাতিজাদের মধ্যে সম্প্রতি বিরোধ শুরু হয়। এ বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ৯ নভেম্বর (সোমবার) দুপুরে নিঃসন্তান আবদুল মজিদের ঘরে বৈঠক বসে। উক্ত বৈঠকে প্রতারনা করে দলিল সৃজন নিয়ে মতবিরোধের জের ধরে আবদুল মজিদের অপর ভাই মৃত মাওঃ ছলিম উল্লাহ’র পুত্র মুজিব উল্লা’হ ও আবদুল কুদ্দুছ মেম্বার এর পুত্র মোঃ ইসমাইলের মধ্যে  বাক বিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে অপরভাই জাফর আলমের ছেলে আবদুর রহমান (৩০) তাদের বাকবিতন্ডা বন্ধ করতে গেলে চাচাতো ভাই ইসমাইলের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়। মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

উল্লেখ্য,  নিঃসন্তান আবদুল মজিদ তার ভাই আবদুল কুদ্দুছ মেম্বারের দু’পুত্রকে ২ কানি সম্পত্তি দলিল মুলে হেবা করে। এরই মাঝে আবদুল কুদ্দুছ মেম্বার কৌশলে ভাই আবদুল মজিদের আরো ৩ একর ৪৪ শতক জমি হেবা দলিল রেজিষ্ট্রি করে নেয়। পরে আবদুল মজিদ বিষয়টি বুঝতে পেরে অন্যান্য ভাই ও আত্মীয় স্বজনসহ বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য বৈঠক বসলে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। এঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

উল্লেখ্য আবদুল মজিদ মৃত ছৈয়দ আলীর পুত্র। মৃত ছৈয়দ আলীর ঘরে ২ স্ত্রীর ৯পুত্র ২ কন্যা সন্তান রয়েছে। তাদের মধ্যে আবদুল মজিদ এর ওরসে কোন সন্তান নেইা। তিনি বহু সম্পত্তির মালিক।

টেকনাফ মডেল থানা পরিদর্শক (অপারেশন) মোঃ খোরশেদ আলম সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খুনের সাথে জড়িতদের আটকের জন্য তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।