মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু :
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে ৫ম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী (১৩) কে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেছে ঐ ছাত্রীর মা। অভিযুক্ত ব্যক্তি বাইশারী ইউনিয়নের করুলিয়া মোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি ৪ সন্তানের জনক মোঃ শাহজাহান। সে ঐ গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে। অভিযোগ পেয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেনের নির্দেশে বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের আইসি মোঃ এনামুল হক ভূঁইয়া শনিবার রাত ২ টায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষক শাহজাহানকে আটক করেন।

নির্যাতিত ছাত্রীর মা জানান, আমার মেয়ে বাইশারী ইউপির করুলিয়া মোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীতে পড়ে। গত ২৯ অক্টোবর দুপুরের দিকে আমার মেয়েকে তোলে নিয়ে বর্ডিং এ রেখে জোরর্পক ধর্ষণ করেন ঐ স্কুলের দপ্তরি শাহজাহান। সেই দিন থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১১ টার সময় অসুস্থ অবস্থায় মেয়েকে তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। এর পর স্থানীয় সর্দার ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাফর আলম হেলালীসহ বিষয়টি দফায় দফায় সমাধানের চেষ্টা চালায়। এরই মাঝে মামলার ভয়ে ও এলাকাবাসীর চাপের মুখে মেয়েটিকে ফের গেল ২ নভেম্বর কৌশলে ঈদগাঁও মাচ্ছোয়াখালী তার বোনের বাড়িতে নিয়ে যায় শাহজাহান। সেখান থেকে এলাকার লোকজন মেয়েটিকে উদ্ধার করেন বলে জানান ওই ছাত্রীর মা। তিনি আরো জানান মেয়েটি বাড়িতে এসে আমাকে জানায়, দপ্তরি শাহজাহান আমার মেয়ের সাথে খারাপ কাজ করেছে অনেক বোঝাবুঝির পরে মেয়ে আমাকে ঘটনা খুলে বলে।

এ বিষয়ে নির্যাতিত ছাত্রী এ প্রতিবেদকের কাছে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, শাহজাহান তাকে ডেকে নিয়ে গাড়ীতে করে নিয়ে যায় একটি বিল্ডিংএ। সেখানে আমার সাথে রাত্রী যাপন কালে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শরীরে হাত দেয় এবং জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন এ কথা বলে কাঁদতে কাঁদতে আর কিছু বলতে পারে নেই।

প্রধান শিক্ষক জাফর হেলালীর মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি স্কুল করোনার জন্য বন্ধ। তবে শাহজাহান তাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। তিনি ঘটনার মীমাংসা করার বিষয়ে বসার কথা স্বীকার করেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এ প্রতিবেদককে জানান, ঐ ছাত্রীর মা’র অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় মামলা রুজু করে ধর্ষক শাহজাহান কে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।