ফাইল ছবি

সরওয়ার কামাল খন্দকার :

পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। পর্যটনের আকর্ষনীয় জায়গা হচ্ছে-হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক, টেকনাফ সাবরাং সমুদ্র সৈকত। দেশ বিদেশের অসংখ্য পর্যটক প্রতিদিন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসেন। এ পর্যটন শিল্পে ব্যবসায়ীগণ কক্সবাজার শহরে ও সমুদ্র সৈকতে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে থাকে। সরকার এ থেকে প্রতিবছর প্রচুর রাজস্ব আয় করে থাকে। যেটি দেশের অথনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। সরকার পর্যটন শিল্পে বিকাশের নিরাপত্তার সাথে ট্যুরিস্ট পুলিশ ইউনিট এবং পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কাজের গতিশীলতার জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পর্যটন ও প্রটোকল শাখায় একজন কর্মকর্তা  নিয়োগ দেন।

পর্যটন ব্যবসার জন্য জেলা প্রশাসক কার্যালয় হতে ব্যবসায়ীদের কার্ড ইস্যুসহ প্রতিবছর কার্ড নবায়ন করে ব্যবসা করতে হয় । কিন্তু ব্যবসায়ীগণ তাদের প্রশাসনিক কাজ করার জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে হয়রানির শিকার হয়ে থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যবসায়ীগণ  জানান, আমরা পর্যটন সংশিষ্ট বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজে পর্যটন ও প্রটোকল শাখার অফিসে গেলে নির্দিষ্ট কোন কর্মকর্তা না থাকায় দীর্ঘ এক বৎসর যাবৎ পর্যটন সেবা ও পরার্মশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।  পাশাপাশি হয়রানির শিকার হতে হয়। এখানে বিভিন্ন খাতের নাম ভাঙ্গিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করে অনেকে।

তাদের আরো অভিযোগ, পর্যটন ও প্রটোকল শাখার কোন নির্দিষ্ট কর্মকর্তা না থাকায় এ শাখার কাজ কখনো অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)  , কখনো অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এর কার্যালয় ও দেখেন । যার কারণে অনেক সময় দালালের খপ্পরে পড়তে হয়। কাজ করে দিতে দালালরা বিভিন্ন ফান্ডের নামে টাকাও দাবী করেন। সুনির্দিষ্ট কর্মকর্তা থাকলে এ টেবিল ও টেবিল দৌড়াদৌড়ি করা লাগত না ।

ইতিপূর্বে সেবাপ্রার্থীরা বিভিন্ন সময় এ সমস্যার সুরাহা করার আবেদন করলেও অদ্যাবধি উক্ত পদটি শূন্য দেখা যায়। এক্ষেত্রে দেশের পর্যটন রাজধানী হিসেবে ও কক্সবাজারকে পর্যটন শিল্প বিশ্বের কাছে সুনাম ও গতিশীলতা ধরে রাখার জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের আওতাধীন কক্সবাজার পর্যটন ও প্রটোকল শাখায় একজন নিয়মিত কর্মকর্তা নিয়োগ এবং পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে সুষ্ঠ সেবা প্রদানের জন্য কক্সবাজারের পর্যটক ব্যবসায়ীগণ আবেদন করেছেন।