সিবিএন ডেস্ক:
হেমন্তের ভোরে শিশির সিক্ত দূর্বা ঘাস ও পথঘাট। সূর্যের আলোতে শিশির দানামুক্তার মতো জ্বল জ্বল করে জানান দিচ্ছে, এসেছে শীত।

কুয়াশা ভেদ করে পূর্ব দিগন্তে সূর্যের উদয়। শীতের আমেজ না, সত্যিকারের শীত। বৃহস্পতিবার (০৫ নভেম্বর) ভোরে খুলনাবাসীকে জানান দিয়েছে শীতের আগমনী বার্তা। তবে জাঁকিয়ে বসেনি এখনো। লেপ, কম্বল বের করতে শুরু করেছে বাড়ির গৃহিণীরা।
কুয়াশামাখা প্রকৃতি আর মাঠে মাঠে ফসলের সম্ভাবনার ঘ্রাণ, কৃষকের চোখে-মুখে আনন্দের রেখা। উৎসব আর আনন্দের মাঝে অনেক গ্রামে শুরু হয়েছে আগাম ধান কাটা। দিনে গরম, রাতে শীতল হাওয়া আর ভোরের ঘন কুয়াশা বলে দিচ্ছে শীত আর দূরে নেই। গ্রামাঞ্চলে একটু বেশি শীত পড়তে শুরু করেছে। খুলনা শহরে এখনও সেভাবে শীত অনুভূত না হলেও সন্ধ্যা আর শেষ রাতে শীতের আমেজ টের পাওয়া যাচ্ছে। শীতের আগমনী বার্তার কড়া নাড়া শুরু হয়েছে। শীত জেঁকে বসার আগেই খুলনায় লেপ-তোষক তৈরির ধুম লেগেছে। সকালে দেখা মিলছে সাদা কুয়াশার ভেলার। এই কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের বার্তা। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে ভোরের সোনারাঙা রোদ। উত্তর থেকে আসছে শিরশিরে বাতাস। ভোরের প্রকৃতিতে হাত বাড়লেই ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা ভাব। গাছ থেকে ঝরছে পাতা, ঝরছে শিউলি ফুল। শেষ রাতে গায়ে কাঁথা চাপাচ্ছেন অনেকেই। যদিও দিনে গরমের তীব্রতা খুব একটা কমেনি।

প্রকৃতিতে শীতের আমেজ শুরু হতে না হতেই রঙ বে-রঙের অতিথি পাখির করতালে খুলনার তেরখাদা উপজেলার ভুতিয়ার বিলসহ বিভিন্ন বিল, খাল ও জলাশায়গুলোতে নানা প্রজাতির অতিথি পাখির আগমন শুরু হয়েছে।

শীতের সময় যেকোনো ভাইরাসজনিত রোগ বাড়ে। এ সময়ে মানুষের শরীরে ইমিউনিটি কমে যায়। এ কারণে শীতে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবা বেশি বলে জানিয়েছেন খুলনা সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ। খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, খুলনাঞ্চলে কমছে তাপমাত্র। শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ভোরে খুলনার তাপমাত্রা ছিলো ১৯ দশমিক ৫ সেলসিয়ায়াস। ২০এর নিচে গেলে শীত অনুভূত হয়। ১৪/১৫ সেলসিয়ায়াস হলে পুরো শীত চলে আসে। এখন থেকে প্রতিদিনই তাপমাত্র কমবে। কমতে কমতে ২০ তারিখের মধ্যে তাপমাত্রা ১৪/১৫ সেলসিয়ায়াসে চলে আসবে।