শাহিদ মোস্তফা শাহিদ:

কক্সবাজার সদরের ইসলামাবাদে ধারালো দা’ দিয়ে জবর মল্লুক (৪৫) ও হামিদা বেগম (৩৯) নামের দুইজনকে উপর্যপুরী কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা চালিয়েছিল সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ৪ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন আহত জবর মুল্লুক। আজ ৪ নভেম্বর বেলা ১১ টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন বলেন এলাকার যুবক আবুল মনছুর জানান। উল্লেখ্য ৩১অক্টোবর সকাল ১০ টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ইউছুপের খীল এলাকায়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও কাউকে আটক করতে পারেনি।

আহতদের স্বজনরা অভিযোগ করে জানান, গত ৩১ তারিখ ১০ টার দিকে আহত স্বামী স্ত্রী ও তাদের এক ছেলে নিয়ে ঈদগাঁওয়ের একটি এনজিও থেকে টাকা তুলে বাড়ী ফেরার পথে একই এলাকার ফিরোজ আহমদের স্ত্রী হামিদা বেগম, ছেলে নুরুল আমিন, আরমানসহ আরো ৩/৪ জন দুষ্কৃতিকারী পূর্ব শত্রুতার জের ও ইয়াবা ব্যবসার তথ্য বিভিন্ন জনকে জানিয়ে দেওয়ার অযুহাতে পথ গতিরোধ করে অবরুদ্ধ করে রেখে টাকা ভর্তি একটি ভেনিটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে বাঁধা দিলে ধারালো দা দিয়ে হামিদাকে কোপ দেয়। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়া স্ত্রীকে উদ্ধার করতে গেলে তাকেও কুপিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে৷ এ সময় স্বামী স্ত্রী দুইজনই দুষ্কৃতকারীদের দায়ের কোপে গুরুতর আহত হলে তাদের কাছে থাকা নগদ টাকা, গহনা, ব্যাংকের কাগজপত্র নিয়ে বাসায় ঢুকে পড়ে। এলাকাবাসী জানায়, ফি‌রোজ ও তার দু সন্তান আ‌মিন ও আরমান মরন নেশা ইয়াবা ব্যবসা, ডাকাতি সহ বি‌ভিন্ন অপকর্ম ক‌রে আসছিল। পরষ্পর আত্মীয়তার সুবাদে আহত জবর মুল্লুক এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বাধা প্রদান করত। এর ফলে জবর মুল্লুক ও তার প‌রিবা‌রের উপর ক্ষিপ্ত হ‌য়ে হত্যার উদ্দ্যেশে এ বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে।

খবর পেয়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে ঈদগাঁওস্থ একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে আহতদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ রিপোর্ট লেখা কালীন সময়ে তারা চট্টগ্রামস্থ একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতদের স্বজনরা দাবী করেন, হামলাকারীরা মামলার আলামত নষ্ট করতে রক্ত গুলো পানি ছিটিয়ে পরিষ্কার করে ফেলেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে বিভিন্ন মাধ্যম যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। পলাতক থাকায় কাউকে পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে স্থানীয়রা জানালেও কাউকে আটক করতে পারেনি বলে নিশ্চিত করেন স্থানীয় কয়েকজন সচেতন সমাজের প্রতিনিধি৷ স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার দিদারুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনাটি শুনেছেন বলে জানায়।