রাজু দাশ ,চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় জমি সংক্রান্ত বন্ধকী বাবদ পাওনা টাকা চাওয়ার অপরাধে মর্জিনা বেগম ও আট বছরের শিশু সন্তান আবদুল্লাহ আল মামুন কে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে স্থানীয় মোঃ আলাউদ্দিন। মা-ছেলে উপজেল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর ) রাত ৮ টায় উপজেলা মাতামুহুরি পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ডে ডলনী ঘোনাস্থ সিকদার পাড়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

ঘটনায় ভিকটিম স্বামী মোঃ আবুল হাশেম বাদী হয়ে বুধবার সকালে মোঃ আলা উদ্দিনকে প্রধান অভিযুক্ত করে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

হামলায় আহত- মোঃ আবুল হাশেম স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৩৫) তার ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন (৮) পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ডে সিকদার পাড়া স্থানীয় বাসিন্দা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, একই এলাকায় অসহায় মোঃ আবুল হাশেম কৃষি কাজ করে অতি কষ্টে জীবিকা নির্বাহ করে। একই এলাকায় মো আলাউদ্দিনের ফসলের জমিতে চাষ করার জন্য জমির চুক্তিবদ্ধ হয়। ফসলের জমি চুক্তিমোতাবেক মেয়াদ শেষ হলে চুক্তিবদ্ধ ৫০ হাজার টাকা না দিয়ে অন্য জনের সাথে চুক্তিবদ্ধ করেন। এসময় পাওনা টাকা দ্রুত পরিশোধ করতে বললে সে টাকা না দিয়ে বিভিন্ন অজুহাত দেখাতে থাকে। ২৭ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে আবুল হাশেমের স্ত্রী জমি বন্ধকীর টাকা খুজতে মোঃ আলা উদ্দিনের বাড়িতে যান এইসময় সেখানে পাওনা টাকা খুজতে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মোঃ আলা উদ্দিন (৪৫) ও তার সহযোগী মোঃ মহি উদ্দিন (৩০), কুতুবউদ্দিন (৪৫), নেছার আহামদ, কবির আহানদের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (২১), পুতুইন্যার ছেলে বাদশা (৫৫) সহ কয়েকজন একাত্রিত হয়ে লাঠি-সোটা দা ছুরি কিরিচ দিয়ে মর্জিনা বেগমের সর্বশরীরে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটাতে থাকে। এসময় ছেলে মাকে বাচাতে আসলে হত্যার উদ্দেশ্য বুকের ডান পাশে কিরিচ দিয়ে আঘাত করেন। মারধরের আঘাত সহ্য করতে না পারে ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন দেখতে আসলে তাদের সামনে বেধড়ক মারধর করে এ সন্ত্রাসীরা। তাৎক্ষনিক পাড়া প্রতিবেশী লোকজন মর্জিনা স্বামী আবুল হাশেম কে খবর দিলে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ঘটনাস্থল থেকে মা ছেলেকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

উদ্ধারকারী স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ জিশান জানান, সংঘবদ্ধ বিবাদীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে মা ছেলেকে এলোপাতাড়ি লাথি, কিল, ঘুষি ও কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করলে আঘাত সহ্য করতে না পেরে চিৎকারের শব্দ শুনে আসলে রক্তাক্ত অবস্থায় অসচেতন অবস্থায় তাদের পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাছাড়া হামলাকারীদের বিরুদ্ধে এ রকম অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে বলে জানান।

এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের জানান, হামলার ঘটনার অভিযুক্ত বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছে। এবিষয়ে তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।