মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া :

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে একদল দূর্বৃত্ত। গুরুতর আহত যুবকের নাম জিয়াবুল হোসাইন (২৯)। তিনি পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড ছনখোলারজুম গ্রামের মৃত মাহামুদুল হকের পুত্র।

আজ বুধবার (২৮ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নে ৩ নং ওয়ার্ডের লম্বা মুড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। এদিকে ঘটনার পরে স্থানীয় কিছু লোক এগিয়ে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সকাল ১০ টার দিকে চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

পেকুয়া সরকারী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, চোর সন্দেহে পিটুনির শিকার ওই যুবকের শরীরের একাধিকস্থানে আঘাতের গুরুতর চিহ্ন রয়েছে। তার অবস্থা সংকাপন্ন। তাই চমেকে রেফার করা হয়েছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা এ প্রতিবেদককে জানান, বুধবার ভোরে ওই যুবক শিলখালী ইউনিয়নের লম্বামূড়া এলাকায় ঘুরাঘুরির সময় কিছু লোক চোর চোর বলে ধাওয়া করে পিঠুনি দেয়। কিছুক্ষণ পর স্থানীয় ৩নং ওয়ার্ড়ের ইউপি সদস্য আব্দুল মালেকের নেতৃত্বে একদল লোক এসে দ্বিতীয় দফায় লাটিসোটা নিয়ে ওই যুবককে আবারো মারধর করেন। ইউপি সদস্যের পাশাপাশি উচ্ছৃঙ্খল কিছু লোকও ওই যুবককে পেঠাতে থাকেন। মারধরের এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ওই যুবক। মারধরে ওই যুবক মারা গেছে ভেবে ইউপি সদস্য ও তার সাথে থাকা লোকজন দ্রুত সটকে পড়ে। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

স্থানীয় মিলখালী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হোছাইন জানান, তিনি গত তিন ধরে এলাকার বাইরে রয়েছেন। চোর সন্দেহে ভিন্ন ইউনিয়নের এক যুবককে মারধরের বিষয়টি তাকে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফোনে অবহিত করেন। পরে তিনি বিষয়টি পেকুয়া থানার ওসি জানিয়েছেন। চেয়ারম্যান আরো জানান, আইন হাতে তুলে নিয়ে এভাবে মারধর করা মোটেই উচিত হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

জিয়াবুলের আত্মীয় স্বজন ও তার এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, জিয়াবুল শিলখালীতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। ভোরে বাড়ী ফেরার পথে ইউপি সদস্য ও তার লোকজন চোর আখ্যা দিয়ে পিঠিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। জিয়াবুল বর্তমানে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে।

পেকুয়া থানায় দায়িত্বরত ডিউটি অফিসার এস আই আল আমিন জানান, তারা ঘটনাটি সম্পর্কে জেনেছেন। তবে এখনো থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।