প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

ঢাকা – জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এর ফ্রেশ ফুড কর্নারগুলো আবারও চালু করেছে। এর ফলে, কোভিড-১৯ প্রতিরোধের ব্যবস্থা হিসেবে বেশ কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর ব্যবসায়িক ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম আবারও শুরু হলো। এই ফ্রেশ ফুড কর্নারগুলো কক্সবাজারের স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সুযোগ, যার মাধ্যমে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী – উভয়েই উপকৃত হচ্ছে।

এই ফ্রেশ ফুড কর্নারগুলো ফার্মার্স মার্কেট উদ্যোগের একটি অংশ, যেখানে স্থানীয় ক্ষুদ্র কৃষক ও ব্যবসায়ীরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডব্লিউএফপি-এর ই-ভাউচার আউটলেট ও ফার্মার্স মার্কেটে তাদের পণ্যসামগ্রী বিক্রি করতে পারেন। সেখান থেকে রোহিঙ্গা পরিবারগুলো ডব্লিউএফপি এসিস্টেন্ট কার্ডের মাধ্যমে নানারকম খাবার কিনতে পারে। এরপর ডব্লিউএফপি সেই অর্থ সরাসরি কৃষক ও ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দেয়।

বাংলাদেশে ডব্লিউএফপি-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর রিচার্ড রেগান বলেন, “এই উদ্যোগের মাধ্যমে মানবিক সহায়তার ফলে যে দ্বিমুখী উপকার হয়, সেটাই পরিলক্ষিত হয়। স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও রোহিঙ্গা পরিবারগুলোর জীবনমানে উন্নয়নের মাধ্যমে তাদেরকে সহায়তা করা এবং সামাজিক সংহতি বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পেরে ডব্লিউএফপি গর্বিত।” তিনি আরও বলেন, “ডব্লিউএফপি-এর পরিকল্পনা আছে এই উদ্যোগকে আরও সম্প্রসারিত করার, যেন আরও স্থানীয় কৃষক ও খুচরা বিক্রেতা এই কর্মসূচির মাধ্যমে উপকৃত হতে পারে।”

মহামারির কারণে ফার্মার্স মার্কেট বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত এখানে লেনদেনের মাধ্যমে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ১২ জন ক্ষুদ্র কৃষক ও ব্যবসায়ীর হাতে প্রতি মাসে প্রায় ৪৭ হাজার মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ পৌঁছাতো। ৪টি মার্কেট এখন আবারও চালু হয়েছে, যেগুলোতে সমন্বিত মাসিক লেনদেনের পরিমাণ ১ লক্ষ মার্কিন ডলারেরও বেশি।

২০২১ সালের মে মাসের মধ্যে, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৩০ শতাংশ মানুষ এই ফার্মার্স মার্কেট থেকে উপকৃত হবে বলে আশা করা যায়, যেখানে মাসিক লেনদেনের পরিমাণ হবে ৫ লক্ষ মার্কিন ডলার।