মকবুল আহমেদঃ
জন্ম: সাগর পরিবেষ্ঠিত এবং পাহাড় অধ্যুষিত মহেশখালী দ্বীপের বড় মহেশখালী গ্রামের দেবাঙ্গাপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত কৃষক পরিবারে এ. এইচ. এম. আবদুল করিম ১৯৪৩ সালের ১লা মার্চ জন্ম গ্রহণ করেন। পরবতীকালে তিনি আবদুল করিম মাস্টার নামে সমধিক পরিচিতি লাভ করেন। তাঁর বাবার নাম আমজু মিয়া এবং মাতার নাম রইংগা বিবি। তাঁর দাদার নাম মাগন আলী এবং দাদীর নাম সোনা বিবি। তাঁর মাতুলালয় পাশ্ববর্তী সিপাহীর পাড়া গ্রামে অবস্থিত। আবদুল করিমের নানার নাম ছমদ আলী মাতব্বর এবং নানীর নাম শুক্কু বিবি। মা-বাবা ও পরিবারের আর সকলে আবদুল করিমকে আদর করে ‘জুলু মিয়া’ নামে ডাকতেন।

প্রথম জীবন ও শিক্ষা: বাড়ির পাশে অবস্থিত প্রাচীন বিদ্যালয় বড় মহেশখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আবদুল করিম প্রাথমিক শিক্ষার হাতে খড়ি এবং তা থেকেই তিনি পঞ্চম শ্রেণী পাঠ সমাপ্ত করেন। এরপর তিনি মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন দুটি উচ্চ বিদ্যালয়ে। প্রথম বিদ্যালয় মহেশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এবং দ্বিতীয় বিদ্যালয় চকরিয়া উপজেলার বদরখালী উচ্চ বিদ্যালয়। মহেশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনি অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়া শেষ করে নবম শ্রেণী থেকে পড়ার জন্য তিনি বদরখালী উচ্চ বিদ্যালয়ে যান এবং মেট্রিক পরীক্ষার পূর্বেই দশম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় তিনি মহেশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ফিরে আসেন। আবদুল করিম মহেশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক পাস করেন।

ক্রীড়ায় কৃতিত্ব: আবদুল করিম বাল্যকাল থেকেই গ্রামে খেলাধূলায় অগ্রণী খেলোয়াড় হিসেবে বেড়ে উঠেন। তিনি কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায়- মহেশখালী, চকরিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত তাঁর যৌবনকালে কৃতি ফুটবল ও ভলিবল খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। এলাকায় ফুটবল ম্যাচ সংগঠিত করা, নিজে খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে খেলে বড় মহেশখালী ও মহেশখালী এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। কৃতি খেলোয়াড় হিসেবে আবদুল করিমকে চকরিয়া-টেকনাফ প্রভৃতি এলাকায় ফুটবল ম্যাচে খেলার জন্য হায়ার করে নিয়ে যেতেন। পরবর্তীকালে বড় মহেশখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনকালে নিজের বড় মেয়ে দিলরুবা আখতারের নামে ফুটবল খেলার টুর্নাামেন্ট ঘোষণা করে বছর-বছর ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন।

কৃষিতেই ছিল উন্নতি: আবদুল করিমের পরিবারের আয়-উন্নতির মূলে ছিল কৃষি ও কৃষি খামার। তাঁদের দেবাঙ্গাপাড়ার বাড়ি হতে প্রায় ৪/৫ কিলোমিটার উত্তরে মহেশখালীর পাহাড়ী অঞ্চলের খাঁরাবন্যা ও কলাতলী নামক স্থানে তাঁদের পরিবারের দুটি খামার ও বাড়ি ছিল। তাতে খেত-খামার, পানের বরজ, ধানের চাষ প্রভৃতি ছিল। আর ছিল গরুর ঝাঁক – ৪০/৫০টির মতো গরু ছিল তাদের। আর ছিল মহিষ। তা হতেই আসতো পরিবারের সকল আয়-রোজগার। আবদুল করিমের মায়ের পক্ষ থেকে প্রাপ্ত সম্পত্তি কলাতলীর খামারবাড়ি যুক্ত হয়ে পরিবারের খামার বাড়ি আরো সম্প্রসারিত হয়। পড়ালেখার সাথে সাথে পরিবারের সেই কলাতলীর খামার বাড়িতেই আবদুল করিমের নিত্য যাতায়াত ছিল। প্রয়োজনে বিভিন্ন কাজে গা লাগাতে কসুর করতেন না তিনি। শ্রমকে মর্যাদার পরিচায়ক হিসেবেই দেখতেন আবদুল করিম। মহেশখালীর আর দশজনের মতোই আবদুল করিমের পরিবারও পান চাষে দক্ষ ছিল এবং তখন তাঁদের পরিবার সেরা পান উৎপাদক হিসেবেও খ্যাতি লাভ করেন।
উল্লেখ্য যে, মহেশখালীর অধিকাংশ কৃষক পরিবার পান উৎপাদনে দক্ষ এবং তা থেকে প্রচুর আয় করে থাকে। মহেশখালীর মিষ্টি পান বাংলাদেশে তুলনাহীন কৃষিপণ্য এবং দেশে-বিদেশে এক নামে পরিচিত।

শিক্ষকতার জীবন: কক্সবাজারসহ এদতঞ্চলে তখন কোনো কলেজ না থাকায় আবদুল করিম মেট্রিক পাস করেই শিক্ষকতার কাজে যুক্ত হয়ে পড়েন। শিক্ষকতার প্রতি তাঁর আকর্ষণ হেতু তিনি অনেক দূরে টেকনাফ এলাকার পল্লান পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পেশায় প্রথম যোগদান করেন। সেখানে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতার বাড়িতে তাঁর থাকার ব্যবস্থা হয়। তখন কক্সবাজার থেকে সাগরের পাড় দিয়েই যাতায়াতের ব্যবস্থা ছিল। তা অবশ্যই পায়ে হেঁটে। জোয়ার-ভাটা দেখেই পথিকের পথচলা শুরু করতে হতো। কখন ভাটা হবে, জোয়ারের পানি হটে গিয়ে কখন চলাচলের পথ উন্মুক্ত হবে তার জন্য পথিককে অপেক্ষায় থাকতে হতো। সেই পথ চলার শ্রম স্বীকার করেই আবদুল করিম শিক্ষকতার কাজের ফাঁকে মহেশখালী আসা-যাওয়া করতেন টেকনাফ থেকে। মহেশখালী-কক্সবাজার যাওয়া-আসাও দুর্গম ছিল। সাগর পাড়ি দিয়ে মহেশখালী থেকে কক্সবাজার আসার বাহন ছিল একমাত্র হাতে দাঁড় বাওয়া সাম্পান। । দুই বছর পর টেকনাফে শিক্ষকতার কাজের সমাপ্তি টেনে তিনি বদলী হয়ে আসেন নিজের থানায় মাতারবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। মাতারবাড়িতে তিনি তিন বছর শিক্ষকতা করেন। তিন বছর পর তিনি বড় মহেশখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলী হয়ে আসেন। নিজের প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করা বিদ্যালয়ে এসে তিনি বিদ্যালয়টিকে আরো সুসংগঠিত করে গড়ে তোলেন। সহকারী শিক্ষক হিসেবে বড় মহেশখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করে দুই বছর শেষে একই বিদ্যালয়ে তিনি প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। অবসর গ্রহণের আগ পর্যন্ত আবদুল করিম মাস্টার সেই বিদালয়ে শিক্ষকতা করে যান। মাঝখানে একবার নিকটবর্তী মুন্সিরডেইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অল্প সময়ের জন্য বদলী হয়ে যান। বড় মহেশখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থেকেই তিনি নিজের ছেলেমেয়েসহ আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীর শতশত ছেলেমেয়েকে শিক্ষা ও দীক্ষা দেন। বড়মহেশখালী ইউনিয়নের হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে অনেক কৃতি শিক্ষার্থী ও সফল ব্যক্তির তিনি শিক্ষক ছিলেন। সকলের কাছে তিনি একজন অসম্প্রদায়িক মানুষ এবং দক্ষ ও পরোপকারী শিক্ষক হিসেবে পরিগণিত হয়ে উঠেছিলেন। তিনি মহেশখালী উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক মনোনীত হন এবং তাঁর বিদ্যালয় শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসেবে সরকারী স্বীকৃতি পান।

বিদ্যালয়ে সংস্কৃতি চর্চা ও শিক্ষাপোকরণ তৈরি ও ব্যবহার: মানসম্মত শিক্ষার জন্য শিক্ষাপোকরণের ব্যবহারকে এখন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সরকারীভাবে এই উদ্যোগ নেওয়ার আগেই তিনি বিদ্যালয়ে নিজের হাতে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে শিক্ষা উপকরণ তৈরি করতেন এবং তা ক্লাসে ব্যবহার করতেন। সারা বছর তিনি বিদ্যালয়ে কবিতা আবৃত্তি, গান চর্চার উপর গুরুত্ব দিতেন। বিভিন্ন দিবস উদযাপন উপলক্ষে ছাত্রছাত্রীরা গাওয়ার জন্য তিনি নিজে জারী গান রচনা করে দিতেন এবং তার প্রশিক্ষণ দিতেন। বিদ্যালয়ে খেলাধূলা, সংগীত চর্চা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের উপর বরাবরই তিনি গুরুত্ব দিতেন। তাঁর নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মহেশখালী উপজেলা,কক্সবাজার জেলা ও চট্রগ্রাম বিভাগ থেকে বিভিন্ন প্রতিযোগতিায় সেরা পুরস্কার অর্জন করে নিতেন।

চারুকারু কাজ: শিক্ষকের শিক্ষকতার অনেক গুণের মধ্যে একটা প্রধান গুণ হিসেবে উল্লেখ করতে হয়, তা হলো চারুকারুর পারদর্শিতা। হাতের সুন্দর লেখা ও কোনো কিছু আঁকা-জোঁকার কাজের দক্ষতা ও সৌন্দর্যে আবদুল করিম মাস্টার ছিলেন অনন্যসাধারণ। সেই দক্ষতা তিনি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেবার চেষ্টা করে যেতেন। বাড়িতে অবসরে নকশীকাঁথার নকশা আঁকা ও সুঁইসুতা নিয়ে নকশী কাঁথা তৈরিতে পারদর্শী ছিলেন তিনি । বাড়ির অনেক বিছানার চাদরে নকশা আঁকা ও নকশা তৈরি করা ও নবজাতকদের জন্য কাঁথায় নকশা আঁকা ও নকশা তৈরি করা তাঁর সখের অন্যতম কাজ ছিল।

বিবাহ ও সন্তানাদি: আবদুল করিম কর্মজীবনে প্রবেশের কয়েক বছর পর দক্ষিণ নলবিলা নিবাসী হারুনুর রশিদের বড় কন্যা মাবিয়া বেগমের সাথে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। মাবিয়া বেগমের মায়ের নাম ফরাশ খাতুন। তার মা ছিলেন রূপসী, নম্র ও বিনয়ী। আবদুল করিমের শ্বশুর হারুনুর রশিদ সাবেক বৃহত্তর গোরকঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি মেম্বার ছিলেন এবং একজন সজ্জন সমাজপতি হিসেবে পরিগণিত ছিলেন। আবদুল করিমের দুই মেয়ে ও তিন ছেলে। প্রথম মেয়ে দিলরুবা আখতার, স্নাতক পর্যন্ত লেখাপড়া করে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন এবং বর্তমানে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত আছেন। দ্বিতীয় মেয়ে দিলারা আলো, স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর একটি বেসরকারী সংস্থার হিসাব বিভাগে ঢাকায় কর্মরত। আবদুল করিমের তিন ছেলের মধ্যে প্রথম ছেলে লে. কর্ণেল ডা: সরফরাজ হায়দার (এমবিবিএস) বাংলাদেশ সেনাবানিীতে কর্মরত; দ্বিতীয় ছেলে শাহবাজ হায়দার (এম, কম) কিছুদিন চাকুরী করার পর বর্তমানে রাজশাহীতে বসবাসরত এবং ব্যবসায়িক কাজে জড়িত; তৃতীয় ছেলে শাহজাহান হায়দার (বি, এ) কক্সবাজার এলাকায় একটি বেসরকারী সংস্থায় কর্মরত।
প্রথম ছেলে লে. কর্ণেল ডা: সরফরাজ হায়দারের স্ত্রী নার্গিস আখতার ডেইজি এমবিবিএস পাস করে চট্রগ্রাম শহরে অবস্থিত সাউদার্ন মেডিকেল কলেজের শিশু স্বাস্থ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
দ্বিতীয় ছেলে শাহবাজ হায়দারের স্ত্রী শারমিন আখতার এম এ পাস করে রাজশাহী শহরের অদূরে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত এবং তৃতীয় ছেলে শাহজাহান হায়দারের স্ত্রী মোতাহেরা বেগম বড় মহেশখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।
পাঁচ ছেলেমেয়ে সকলে বিবাহিত এবং সাংসারিক ও পেশাগত কাজে নিযুক্ত রয়েছেন।

৭১ সালের নির্যাতিতদের পক্ষে ভূমিকা: ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চে পাকিস্তানী হানাদার সৈন্যবাহিনী সারা দেশের নিরীহ জনগণের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লে তার দুয়েকদিনের মধ্যে মহেশখালীতেও হানাদার বাহিনী নিরীহ জনগণের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা মহেশখালীর সকল হিন্দু সম্প্রদায় অধ্যূষিত গ্রাম জ্বেলে-পুড়ে চারখার করে দেয়। তাতে অনেক মানুষের মৃত্যু হয় এবং সহায়-সম্পত্তির লুট হয়। সেই সময় আবদুল করিম মাস্টার বড়মহেশখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। সন্নিকটেই হিন্দু সম্প্রদায়ের পাড়া। তাতেও হানাদার বাহিনী অগ্নী-সংযোগ করে। নারীপুরষ সকলে প্রাণ হাতে নিয়ে নিঃস্বভাবে ঘর ছেড়ে পলায়ন করে। নিকটস্থ গ্রামের পরিচিত বাড়ির ২০/২৫ জন নারী-শিশুকে আবদুল করিম নিজের বাড়ির অভ্যন্তরে আশ্রয় গ্রহণ করার সুযোগ করে দেন। দলে দলে সন্ত্রস্ত পুরুষরা আশ্রয় নেয় বাড়ির অদূরে অবস্থিত আবদুল করিমের কৃষি-খামারে ও পানের বরজে। তাদের সকলের জন্য রান্না করা খাবার যোগান দেন আবদুল করিমের স্ত্রী মাবিয়া বেগম। আশ্রিত সকলের জন্য কয়েকদিন ধরে খাবার পৌঁছানো ও দেখভাল করা প্রভৃতি আবদুল করিম মাস্টারের নেতৃত্বেই হয়েছিল।
দেবেঙ্গাপাড়া গ্রামটি হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায় বিশিষ্ট একটি পাড়া। নিবিড়ভাবে পরষ্পরের গায়ে-গা লাগানো বাড়িঘর। সাধারণ দরিদ্র নারীপুরুষ মিলেমিশেই সকলের জীবন সংগ্রাম চলে। কিন্তু মাঝে-মধ্যে সবল পরধনগ্রাসী মুসলিমের কোপানলে কোনো কোনো হিন্দু পরিবারকে পড়তে হয়। সেই কোপানল থেকে বাঁচার কৌশল হিসেবে কোনো-কোনো হিন্দু পরিবারের ব্যক্তিগত জমি আবদুল করিমের নামে লিখে রেখেছে জমির সুরক্ষার জন্য। এমন নজির সমাজে বেশি নেই।

অবসরের জীবন: আবদু করিম মাস্টারের দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনের শেষে তিনি ১৯৯৮ সালে সরকারী চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। অবসর গ্রহণের পর তিনি হজ্বব্রত পালন করেন। চাকুরী থেকে অবসর নিয়ে তিনি কিছুদিন নিজ গ্রাম দেবেঙ্গাপাড়ার বাড়িতে কাটান এবং পরে তাঁর বড় ছেলে লে. কর্ণেল সরফরাজ হায়দারের চট্রগ্রামস্থ সেনানিবাসের বাসায় স্ত্রী মাবিয়া বেগমসহ বসবাস করছেন।

• তারিখ: ২৭ অক্টোবর ২০২০খ্রি.