ফরিদুল আলম দেওয়ান,মহেশখালী :

ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মৃত বাবার চল্লিশা ফাতেহা দিয়ে অশ্রুসজল নয়নে ওরা ফিরছিল নিজ নিজ কর্মস্থলে। কিন্তু অদৃষ্টের নির্মম পরিহাস। কর্মস্থলে ফেরা হলো না কাস্টমস কর্মচারী কুতুবদিয়ার আমিনুল কবিরসহ একই পরিবারের ৩ জনের। ঘাতক ডাম্পার গাড়ি কেড়ে নিল ৩ জনের প্রাণ। ফলে  ৩২ দিনে যে পরিবারের স্বজনহারানো বেদনা আর কান্না থামেনি, সপরিবারে গতকাল থেকে আবার শুরু হল আরো দুজন স্বজন হারানোর বুক ফাঁটা আর্তনাদ। এমন ট্রাজেডিপূর্ণ সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা কি ঘটেছে গতকাল ২৬ অক্টোবর বিকালে মগনামা-পেকুয়া সড়কের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের নন্দীর পাড়া স্টেশন এলাকায় । এতে ঘাতক ডাম্পারের সাথে সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজি চালকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন সিএনজি অটোরিকশার আরো তিন যাত্রী। নিহতরা হলেন, মগনাম ইউনিয়নের মগঘোনা এলাকার খলিল আহমেদের ছেলে সিএনজি অটোরিকশা চালক মোঃ আবু তালেব (৩০), কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের আজিম উদ্দিন সিকদার পাড়া মরহুম ভেন্ডার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে ও চট্টগ্রাম কাস্টসমের সিপাহি আমিনুল কবির (৩০) ও তার ভগ্নিপতি একই এলাকার ছৈয়দ আলমের ছেলে আক্কাস উদ্দিন (৪০)।
কুতুবদিয়া থেকে নিহত আমিনুল কবিরের পরিবারের বরাত দিয়ে তার বন্ধু এডভোকেট এহ,এম সাইফুল্লাহ খালেদ জানান, নিহত আমিনুল কবির ভয়েস অব কুতুবদিয়ার সম্পাদক ও সমাজ কল্যাণ পরিষদ (সকপ) 1 চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম কাস্টমসে সিপাহী পদে কর্মরত ছিলেন। বাবার চল্লিশা ফাতেহা সম্পন্ন করে গতকাল ভগ্নিপতি আক্কাস উদ্দিন ও তার মেয়ে ভাগিনি কুতুবদিয়া সরকারি কলেজের একাদশ প্রথম বর্ষে পড়ুয়া আফসানা আলম সোনিয়া (১৯)কে সাথে নিয়ে যার যার কর্মস্থলে ফেরার পথে দুর্ঘটনার শিকার হয়। মারাত্মক আহত আফসানা আলম সোনিয়াসহ আহত অপর অজ্ঞাত তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।