মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

হতদরিদ্র, অসহায়, নিঃস্ব, গরীব মানুষের সহায়তায় সরকরের পাশাপাশি সমাজের সচ্ছল ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বিত্তশালীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। সোমবার ২৬ অক্টোবর কক্সবাজারের ২জন অসহায় মানুষকে ২টি নতুন ঘর বুঝিয়ে দেওয়ার সময় তিনি এ আহবান জানান।
“জমি আছে ঘর নাই” প্রকল্পের আওতায় সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এই ঘর ২টি প্রদান করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে উক্ত প্রকল্পের আওতায় সরকারের প্রত্যেক সিনিয়র সচিব ও সচিবদের মাধ্যমে তাদের নিজ নিজ জেলায় অসহায় দরিদ্র ব্যক্তিদের দুইটি করে ঘর প্রদানের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। “জমি আছে ঘর নাই” নামক উক্ত প্রকল্পটি আগামী ৩১ অক্টোবর শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

২জন অসহায় মানুষকে নিজ জেলা কক্সবাজারে নতুন ২টি ঘর প্রদানের পর কক্সবাজারের ভূমিপুত্র স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, বাংলাদেশ এডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি হেলালুদ্দীন আহমদ তাঁর নিজস্ব ফেসবুকে ২৬ অক্টোবর কয়েকটি ছবি সহ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন-নতুন ঘর প্রাপ্তদের একজন ৯০ বছরের বয়োবৃদ্ধ এবং অপরজন একজন অসচ্ছল বিধবা মহিলা। ঘরটি বুঝে পেয়ে ৯০ বছরের বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তি নিজেই প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া পরিচালনা করেন। নিম্মে সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এর স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো :

“জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহবানে শ্রদ্ধা জানিয়ে “জমি আছে ঘর নাই” প্রকল্পের আওতায় সরকারের সিনিয়র সচিব/সচিবদের নিজ জেলায় অসহায় দরিদ্র ব্যক্তিদের দুইটি করে ঘর প্রদান করা হয়। উক্ত প্রকল্প আগামী ৩১ অক্টোবর ২০২০ তারিখ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

আমার নিজ জেলা কক্সবাজারে এ প্রকল্পের আওতায় দু’জন অসচ্ছল ব্যক্তিকে ঘর নির্মাণ করে বুঝিয়ে দেয়া হয়। একজন ৯০ বছরের বয়োবৃদ্ধ এবং অপরজন একজন অসচ্ছল বিধবা মহিলা। ৯০ বছরের বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তি নিজেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া পরিচালনা করেন।

আমরা আশা করবো-সমাজের সকল সচ্ছল ব্যাক্তিরা এগিয়ে আসবেন।”

প্রসঙ্গত, সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ২ দিনের সরকারি সফরে গত ২৫ অক্টোবর কক্সবাজার এসে ২৬ অক্টোবর বিকেলে ঢাকার উদ্দেশ্যে তিনি বিমানযোগে কক্সবাজার ত্যাগ করেন।