মহানবী কে নিয়ে ব্যঙ্গ এবং কটূক্তি করা যদি বাক স্বাধীনতা হয়। তাহলে কোন ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলেন?

স্যামুয়েল প্যাটি নামের ইতিহাস ও ভূগোলের ওই শিক্ষক ক্লাসে মহানবী (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করেছিলেন।

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ফ্রান্সে বাক স্বাধীনতার কথা বলে সেই শিক্ষক মহানবীকে নিয়ে প্রকাশ্যে কটূক্তি করার ঘোষণা দেয় এবং ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করেন। সেই ঘোষণার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এক স্কুল শিক্ষার্থী তাকে হত্যা করেন।

এমন সময় শিক্ষক হত্যার ঘটনা ঘটল, যখন ২০১৫ সালে শার্লি এবদো পত্রিকার অফিসে হামলার বিচার চলমান। ওই হামলার ঘটনাও ঘটেছিল মহানবী (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের কারণে।

ফ্রান্সে ইসলামপন্থীদের নামে হামলার ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। দেশটিতে ঘোষণা দিয়ে মহানবী (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করা হয়। বিষয়টিকে তারা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বলে থাকে।

কিন্তু নিজের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে অন্যের অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার বিষয়টি আদৌ বিবেচনায় নেয়া হয় কিনা, তা প্রশ্নসাপেক্ষ।

প্রিয়নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) কে নিয়ে ব্যঙ্গ করার মত এই বড় সাহস হয় কি করে??

আজকে যারা মানবতার স্লোগান দিচ্ছেন এই মানততার সূত্রপাত আমার প্রিয়নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) যার মধ্যেমে হয়েছে।। তিনি আমাদের নবী যাকে নিয়ে এই পৃথিবীতে সকল গবেষক দার্শনিক বিজ্ঞানী সবাই এক বাক্যে বলেছেন মোহাম্মদ পৃথীবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ।

আজকে সেই শ্রেষ্ঠ মানুষটাকে নিয়ে আপনাদের ব্যঙ্গ করতে খুবই ভাল লাগে তাইনা? এই পৃথিবীতে খ্রিস্টান ধর্মালম্বী যারা আছেন তাঁরা তো মানুষের চোখে ধূলো দিয়ে সমাজ কে কলূষিত করে আসতেছে।
যেমনটা আইয়্যামে জাহেলিয়াতে থেকে করে আসতেছে।
আজকে সভ্যতার মুখোশ পরে ইহুদী খ্রিস্টানরা সারা পৃথিবীর মানুষ কে কলূষিত করে ফেলেছে।
তাদের অপকর্মের দ্বারা আজ পৃথিবীতে বিরাজ করছে অশান্তি। সে নিকৃষ্ট মানুষ গুলাই নাকি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষটাকে নিয়ে ব্যঙ্গ করে। এটাই যদি হয় আপনাদের বাক স্বাধীনতা এটাই যদি হয় আপনাদের অধিকার তাহলে ধিক্কার জানাই আপনাদের সেই নোংরা মন মানসিকতা কে।

আপনাদের 100 Great People এই বই দ্বারা আপনারা প্রমাণ করেছেন সারা বিশ্বে মোহাম্মদ (সঃ) হচ্ছেন শ্রেষ্ঠ মানুষ। সেই শ্রেষ্ঠ মানুষে শ্রেষ্ঠত্বের অধিকার থেকে শ্রেষ্ঠ মানুষটির উম্মত হিসেবে আমাদের শরীলে রক্ত ক্ষরণ হয়। যখন আপনাদের সভ্যতার কথা বলার আড়ালে এই নোংরা মন মানসিকতা গুলো দেখতে পাই।

আজকের দিনে আবার আগের মত সূত্রপাত করল সেই ২০১৫ সালে এই একী রাষ্ট্র মহানবী কে নিয়ে ব্যঙ্গ করা ঘৃণীত জাতী।
আজকে আবার নতুন করা মহানবীকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করে সৃষ্টি করেছে নির্মম বর্বরতা। মহনবী কে নিয়ে যদি কটুক্তি করার বাক স্বাধীনতা দিতে পারলে মহানবী কে নিয়ে কটুক্তিকারী কে হত্যা করার বাক স্বাধীনতা কেন দিতে পারেন না?

যারা ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলে তাঁরাই সবচেয়ে বেশি ধর্মের উপরে আঘাত করে মুসলিম জাতির দ্বারা আজ পর্যন্ত কোন ধর্মকে অবমাননা করা হয়নি।আমাদের প্রিয়নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) নিষেধ করে গিয়েছেন বিদায় হজ্বের ভাষণে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে। কিন্তু বাস্তবিক ক্ষেত্রে ইহুদী খ্রিস্টানগণ প্রতিনিয়ত ধর্ম যুদ্ধে লেগে থাকে।
যার কারণে সূত্রপাত হয় কলূষিত ঘটনার।

মহানবীকে নিয়ে আজকের দিনে নয় সেই দেড় হাজার বছর আগে থেকেই কটূক্তি করে আসতেছে কিন্তু বাস্তবিক অর্থে তাঁরাই সব সময় পরাজিত হয়েছে। আজকে আপনাদের এই লোক দেখানো মানবতা এটা পৃথীবীর কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে। মানবতার নাম দিয়ে মানুষ কে নিয়ে সমালোচনা করা ধর্ম যুদ্ধ লাগিয়ে দেওয়া এটাই যদি হয় তাদের সভ্যতা তাহলে তাঁরাই পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট জাতি। মানবতার প্রথম সূত্রপাত হয় মোহাম্মদ (সঃ) থেকে যিনি ক্রিতদাস এবং নারীদের কে মুক্তির মাধ্যেমে মানবতার সূচনা করেছিলেন।

আমাদের প্রিয় নবীর মানবতার ছিঁটেফোটা যদি আপনাদের মনে থাকত উনার পথ অনুস্বরণ করলে আজকে দিনে এত জঘন্য ঘনটনার জন্ম হতনা।
শুধু মানবতার স্লোগাণ দিলে হবেনা।
সঠিক মানবতা মনের মধ্যেই থাকতে হবে।
শিক্ষিত হলে হবেনা জনপ্রিয় শিক্ষক হলে হবেনা।সুশিক্ষা নিজের মধ্যেই থাকতে হবে। আজকে যদি সেই শিক্ষক সুশিক্ষিত হলে এই রকম ঘটনার জন্ম হতনা।
সর্বোপোরী মনবতার স্লোগান হউক সঠিক মানতার শিক্ষা। শিক্ষা হউক সুশিক্ষা পাঠদান হউক ব্যক্তি ধর্মনিরপেক্ষতা এবং অহংকার মুক্ত।

নিবেদক
দেলোয়ার হোছাইন (বাপ্পী)
বি,এ এম,এ এল এল,বি (অধ্যয়নরত)