সোয়েব সাঈদ ॥
কক্সবাজারের রামুতে বেইলী সেতু ধ্বসে পড়ায় রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কে যানবাহন চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন এ সেতুটি ৫ বছর ধরে চরম ঝুঁকিপূর্ণ হলেও সেটি পুননির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি বান্দরবান সড়ক ও জনপদ বিভাগ। সেতুটি অচল হওয়ার ফলে এখন রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাবাসী কয়েক লাখ জনসাধারণকে যোগাযোগে অবর্ণনীয় দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সেতু ধ্বসে যান চলাচল বিচ্ছিন্ন হওয়ার খবর পেয়ে শুক্রবার বিকালে ওই স্থানে যান রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা। তিনি জানিয়েছেন-রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কটি বান্দরবার সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতাধিন। তাই বিষয়টি তাৎক্ষণিক তাদের জানানো হয়েছে। বিকালেই বান্দরবার সড়ক ও জনপদ বিভাগের একটি টিম রামুর কাউয়ারখোপের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। সহসা এ সমস্যা নিরসনে তিনিও প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
রামুর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহমদ জানিয়েছেন- সেতুটি অনেক আগে থেকেই ঝূঁকিপূর্ণ ছিলো। এনিয়ে সংবাদ মাধ্যমে লেখালেখি হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এটি পূননির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি। কয়েকদিনের টানা বর্ষণে সড়কটির দক্ষিণ পাশের মাটি সওে গেছে। ফলে সেতুটিও আংশিক ধ্বসে যাওয়ায় যান চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। তিনি কয়েকলাখ মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম এ সেতুটি জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার বা পূননির্মাণের দাবি জানান।
কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য ও কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম জানিয়েছেন-বৃহষ্পতিবার থেকে সেতুটির দক্ষিণ পাশে মাটি সরে গেলে রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। তিনি আরো জানান-সম্প্রতি ১০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এ সড়ক প্রশস্থকরণ কাজ শুরুর প্রক্রিয়া চলছে। সড়কে এ সেতু ছাড়াও নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন আরো একটি বেইলী সেতু ঝূঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তবে ১০৪ কোটি টাকার সড়ক প্রশস্থকরণকাজে এ দুটি সেতু পূণনির্মাণ করা হবে কিনা, তা তিনি জানেননা। এ প্রকল্পে না থাকলেও আলাদা বরাদ্ধ দিয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ এ দুটি সেতু পূননির্মাণের দাবি জানান তিনি।