সিবিএন ডেস্ক:
রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার জন্য বাংলাদেশকে আরও প্রায় ২০ কোটি ডলার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।বৃহস্পতিবার সকালে রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল দাতা সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

দাতা সম্মেলনটি যৌথভাবে আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। এই সম্মেলনের লক্ষ্য ছিল বিপুল সংখ্যক শরণার্থী গ্রহণ করার ফলে সৃষ্ট চাপ প্রশমনে সহযোগিতা ও বিনিয়োগ বাড়ানো।

এই বছরের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে সহিংসতা ও জাতিগত নিধনযজ্ঞের মুখে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার তিন বছর হয়েছে। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে ৮ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছেন। জাতিসংঘ এই বছর রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য ১০০ কোটি ডলারের বেশি তহবিলের জন্য আহ্বান জানিয়েছে। তবে অর্ধেকেরও কম তহবিল সংগৃহীত হয়েছে। করোনা মহামারি পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ই. বেইগুন ভার্চুয়াল সম্মেলনে মানবিক সহযোগিতার জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন অব্যাহত ও রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণ চিহ্নিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, সংকট সমাধানে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্র ও আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদাররা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মার্কিন দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি’র ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক জন বারসা মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যেসব মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন তাদের জন্য টেকসই ও নির্বিঘ্ন সহায়তা নিশ্চিত করার জন্য। তিনি বলেন, আমরা এই সংকটের একটি টেকসই সমাধানের পক্ষে। যাতে করে রোহিঙ্গাসহ ও ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া মানুষেরা স্বেচ্ছায়, নিরাপদে ও সম্মানের সঙ্গে ফিরতে পারেন নিজেদের আবাসে বা পছন্দমতো স্থানে।

দাতা সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর কাছে আহ্বান জানানো হয় মিয়ানমারে জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে গণহত্যা সংঘটিত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করার জন্য। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর কাছে মানবাধিকার ও শরণার্থী সংগঠনগুলোর লেখা এক চিঠিতে এই আহ্বান জানানো হয়।